টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: ১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল হানাদার মুক্ত হয়েছিল। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণ ও পলায়নের মধ্যে দিয়ে টাঙ্গাইল মুক্ত হয়। ওই দিন ধবংসস্তূপের মধ্য দিয়ে স্বজন হারাদের বিয়োগ ব্যাথা ভুলে হাজার হাজার মুক্তিকামী উৎফুল্ল জনতা রাস্তায় নেমে এসেছিল টাঙ্গাইল হানাদার মুক্তির আনন্দে।
বীর মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা টাঙ্গাইলে অবস্থানরত হানাদার বাহিনীর উপর আক্রমণের পরিকল্পনা করে। টাঙ্গাইল কালিহাতি উপজেলার পুংলি নামক স্থানে মিত্র বাহিনীর সঙ্গে সংর্ঘষ হয় পাকিস্তানি সেনাদের। টাঙ্গাইল শহরকে হানাদার মুক্ত করার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা হানাদার বাহিনীর উপর প্রচন্ড আক্রমণ করে এবং তাদের ৭টি জাহাজ ভর্তি অস্ত্র ও গোলাবারুদ ধ্বংস করে দেয়।
মুক্তি বাহিনীর এই আক্রমণ এবং গোলাবারুদ হারিয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে পাকিস্তানি সৈন্যরা। অবস্থা বেগতিক দেখে প্রাণ ভয়ে পাকিস্তানিরা সারারাত ধরে টাঙ্গাইল ছেড়ে ঢাকার দিকে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধারা পরিকল্পনা অনুযায়ী চারদিক থেকে তাদের ঘিরে ফেলে। পরে তারা আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে।
প্রতিরোধ যুদ্ধের শুরু থেকে ডিসেম্বর ১০ ডিসেম্বর ভোর রাত পর্যন্ত টাঙ্গাইলকে মুক্ত করার জন্য যুদ্ধে লিপ্ত থাকে কাদেরিয়া বাহিনী। ১১ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল সার্কিট হাউজে অবস্থানরত খান সেনাদের কাদের সিদ্দিকীর কাছে আত্মসমর্পণের মধ্যে দিয়ে টাঙ্গাইল সম্পূর্ণভাবে মুক্ত হয়।
মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, ১১ ডিসেম্বর যখন টাঙ্গাইল হানাদার মুক্ত হয়েছিল সেদিনের আনন্দ অবর্ণনীয়, যা ভাষায় বোঝানো যাবে না।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available