জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৭ এপ্রিল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের আয়োজনে কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির। এসময় তিনি স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রকে বাংলাদেশের জন্মসনদ উল্লেখ করে বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। এখন পর্যন্ত স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে মৌলবাদি ও সাম্প্রদায়িক প্রেতাত্মাদের তৈরি অনেক বিকৃত ইতিহাস বিস্তৃত হচ্ছে, যাতে করে তরুণ প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ছে। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী একটা দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা যে কেউ দিতে পারে না। যিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিবেন তাকে অবশ্যই জাতির নির্বাচিত কিংবা অবিসংবাদিত নেতা হতে হবে। আর আমাদের বাঙালি জাতির একমাত্র অবিসংবাদিত নেতা হচ্ছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এসব বিষয় তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রকে অস্বীকার করলে বাংলাদেশের সংবিধানকে অস্বীকার করা হয়, একারণেই এবিষয়ে শাস্তির বিধান রেখে দ্রুত নতুন আইন করা উচিত। মুক্তিযোদ্ধা হলেই হবে না, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সবসময় বিশ্বাসী হতে হবে। পৃথিবীর কোনো জাতি স্বাধীনতার জন্য এত বড় ত্যাগ করেনি। এসব কিছু আমাদের অহংকার। তরুণ প্রজন্মকে এই অহংকার ধারণ করে বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে।’
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস অনেক দৃঢ়, যা আমাদের শিক্ষার্থীদের কাছে তুলে ধরতে পারছি না; যে কারণে ইতিহাস বিকৃত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের এই সংক্রান্ত সঠিক ইতিহাস পড়তে ও জানতে হবে এবং সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। আমাদের দর্শন হতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চিন্তা চেতনার উপর ভিত্তি করে। যদি আমাদের চিন্তা চেতনায় অপশক্তির প্রবেশ ঘটাই, মৌলবাদকে চাষ করি, জঙ্গি-সন্ত্রাসকে নিয়ে আসি; তাহলে কিছুই পরিষ্কার হবে না।’
এ প্রেক্ষিতে উপাচার্য বাংলাদেশের স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস নিয়ে এধরণের সেমিনার আরও বেশি সংখ্যায় আয়োজনের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
মূল প্রবন্ধের উপর বিশেষ আলোচনায় ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম বলেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের উপর বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে আছে।’
ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুর্শিদা বিনতে রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর চৌধুরী। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন আয়োজক কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. মোছা. খোদেজা খাতুন।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, রেজিস্ট্রার, প্রভোস্ট, প্রক্টর, শিক্ষক সমিতি এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available