নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর নিয়ামতপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আবাসিক হোটেলে নিয়ে এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর নানি বাদি হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
১ জুন শনিবার সকালে অভিযোগের প্রেক্ষিতে রিফাত (২২) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। রিফাত উপজেলা সদরের পূর্বপাড়ার কামরুজ্জামানের ছেলে। বর্তমান নিয়ামতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদের ভাতিজা।
থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নিয়ামতপুর উপজেলার একটি স্কুলের ৮ম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী। সে স্কুল আসা যাওয়ার পথে রিফাত বিভিন্নভাবে প্রেমের প্রস্তাব দিতো। এক পর্যায়ে প্রেমে রাজী না হওয়ায় শুধুমাত্র ফোনে কথা বলাতে রাজী করে এবং কথা বলার জন্য একটি মোবাইল ফোন কিনে দেয়। কথা বলার এক পর্যায়ে তাদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় প্রায় এক বছর পূর্ব থেকে।
সম্প্রতি ৩০ মে বৃহস্পতিবার ওই স্কুল ছাত্রীকে বিয়ের কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নেয় উপজেলা সদরের বাবু বাজারে। সেখান থেকে তাকে বিয়ে করার কথা বলে প্রথমে রাজশাহীতে নিয়ে যায়। রাজশাহীতে বিভিন্ন জায়গায় সারাদিন ঘুরাফেরা করে পুনরায় রাত ৮টায় নিয়ামতপুরে ফিরে আসে।
এরপর তরফদার আবাসিক হোটেলে তৃতীয় তলায় পশ্চিম পার্শ্বের একটি রুম ভাড়া নেয়। সেখানে ওই স্কুল ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্কুল ছাত্রীর ইচ্ছের বিরুদ্ধে দুইবার ধর্ষণ করে। পরদিন ৩১ মে শুক্রবার দিনের বেলায় দুইবার ধর্ষণ করার পর বেলা ৪টায় স্কুল ছাত্রীকে হোটেল থেকে বের করে তিন মাথার মোড়ে রেখে রিফাত পালিয়ে যায়।
নিয়ামতপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাকিরুল ইসলাম জানান, ৮ম শ্রেণির ওই স্কুল ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে। এমন অভিযোগে ৩১ মে শুক্রবার একটি মামলা হয়। মামলার প্রেক্ষিতে শনিবার সকালে আসামি রিফাতকে উপজেলা সদর থেকে গ্রেফতার করা হয়।
নিয়ামতপুর থানার ওসি মাইদুল ইসলাম জানান, মামলার প্রেক্ষিতে আসামিকে তাৎক্ষণিক গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। আদালতের মাধ্যমে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য আবেদন করবেন তারা। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available