খুলনা প্রতিনিধি: বেশ যত্ন নিয়েই সাজানো হয়েছে স্টলগুলো। ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে নানা প্রজাতির ফুল, ফল আর ঔষধি গাছের চারায় সজ্জিত করেছেন নার্সারির মালিকেরা। কিন্তু যাঁদের জন্য এত আয়োজন, সেই কাঙ্ক্ষিত ক্রেতার দেখা মিলছে না। খুলনা সাকির্ট হাউজ মাঠে জেলা প্রশাসন ও ও সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ যৌথভাবে আয়োজিত এবারের বৃক্ষমেলায় এখন এমনই চিত্র।
১৬ জুলাই ১৫ দিনব্যাপী খুলনা বিভাগীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা খুলনা সাকির্ট হাউজ মাঠে উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ। ৩১ জুলাই বৃক্ষমেলা শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এতে খুলনা মহানগরী ও জেলা শহর ছাড়াও অন্যান্য উপজেলা থেকে আসা নার্সারির মালিকেরা বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারার পসরা সাজিয়েছেন।
সম্প্রতি মেলা ঘুরে দেখা যায়, বিক্রেতাদের চোখে-মুখে দুশ্চিন্তার স্পষ্ট ছাপ। মেলাজুড়ে সুনশান নীরবতা। বসে বসে অলস সময় পার করছেন বিক্রেতারা। কেউ কথা বলছেন মুঠোফোনে, কেউবা পানি দিচ্ছেন চারা গাছে। বিক্রেতাদের দাবি, মেলা শুরুর পর কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ আর চলমান কারফিউয়ের কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে বড় ধরনের লোকসান গুণতে হবে বলে জানান তারা। আর তাই মেলার সময় বাড়ানোর দাবী নার্সারি মালিকদের।
সুলতানা নার্সারির মালিক রিয়াদুল ইসলাম রাজ বলেন, গত বছরের থেকে এবার বেচাকেনার অবস্থা খুবই খারাপ। মেলার সময় না বাড়ালে অবস্থা খুবই খারাপ হবে। সুমি নার্সারির মালিক নয়ন বলেন, মেলা শুরুর পর থেকেই তো সারা দেশে কারফিউ জারি হইছে। আমরা আসলে অনেক সমস্যায় আছি। বেচাকেনা আসলে এই মুহুর্তে খুবই খারাপ।
সোহাগ নার্সারির মালিক সোহাগ বলেন, গাছগুলো পরিচর্যা করার জন্যই মেলায় আসা, বেচাকেনা নাই বললেই চলে। দেখা যাচ্ছে সারাদিনে কোন দোকানে বউনিও হয়নি। তাই আমরা নার্সারি মালিক সমিতির কাছে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করছি যেন মেলার সময়টা বাড়ানো হয়।
নার্সারি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু মাসুদ বলেন, লোকজন আসতে না পারায় মেলায় কোনো বিক্রি নাই। মেলা শুরুর পর থেকে শুধু লোকসান গুণছি। মেলায় আমাদের সময় দেওয়া হয়েছে ৩১ জুলাই পর্যন্ত। এবার লোকসান ছাড়া কোনো উপায় নাই তাই আমরা জেলা প্রশাসন ও ও সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের কাছে সময় বাড়ানোর দাবি জানিয়েছি।
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন মুঠোফোনে বলেন, নার্সারির মালিক ও নার্সারি মালিক সমিতির আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে আগামী ৭ই আগস্ট পর্যন্ত সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে । এবারের খুলনা বিভাগীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলায় সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের স্টলসহ মেলায় মোট ৫৫টি স্টল রয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available