রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষ্যে ১৭ মে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ূন কবীর এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক এস এম এক্রাম উল্লাহ।
অধ্যাপক এস এম এক্রাম উল্লাহ বলেন, বাঙালি জাতীয়তাবাদ সার্বজনীন, বস্তুনিষ্ঠ এবং যুক্তিনির্ভর। বাঙালি জাতীয়তাবাদী দর্শন অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণমুখী, প্রগতিবাদী ও মানবতাবাদী। আর শেখ হাসিনা ব্যতীত বর্তমান বাংলাদেশে এই জাতীয়তাবাদ চেতনাকে ধরে রাখা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য ১৯৮১ সালের ১৭ মে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাবর্তন অত্যন্ত জরুরি ছিল। প্রত্যাবর্তনের শুরুতেই তিনি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার শক্তিশালী অ্যাডভোকেট হিসেবে কাজ করেছেন।
এক্রাম উল্লাহ আরও বলেন, জিয়াউর রহমানের সময়ে কারফিউয়ের যে রাজনীতি শুরু হয়েছিল পরবর্তী ৫ বছর এই রাজনীতি ছিল। এই রকম একটি ভয়াবহ রাজনীতি যেখানে মিটিং মিছিল করা যেত না, অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলা যেত না, সাম্যের কথা বলা যেত না। তার বিরুদ্ধে একমাত্র শেখ হাসিনাই কথা বলেছেন ও সংগ্রাম করেছেন।
প্রধান অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতানুল ইসলাম বলেন, স্বৈরাচারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে উনার প্রত্যাবর্তন আমরা বাংলাদেশের মানুষ পূর্ণ স্বাধীনতা লাভের কোষালগ্ন হিসেবে তুলনা করতে পারি। তিনি সেদিন সমগ্র বাঙালি জাতির আশা-ভরসার আস্থার সোনালি সূর্য হিসেবে পরিচিত হয়েছিলেন যা আজ পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।
উপ-উপাচার্য বলেন, আজকে আমাদের কৃষি বিপ্লবের ফলে কেউ না খেয়ে আছে এমনটা কেউ বলতে পারবে না। আসলে বাংলাদেশের মতো ছোট্ট একটি দেশে ১৮ কোটি মানুষের তিন বেলা খাবার, সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষা, চিকিৎসা সবকিছু নিশ্চিত করা চ্যালেঞ্জের বিষয়। কিন্তু বর্তমান বিশ্বের বিরূপ পরিস্থিতিতেও শেখ হাসিনা সবকিছু নিশ্চিত করেছেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available