• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ১১:৪১:৪৫ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ১১:৪১:৪৫ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

সারাবাংলা

শিবচরে মা ও শিশু হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ

১০ জানুয়ারী ২০২৪ সকাল ১১:০৮:২৪

শিবচরে মা ও শিশু হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি: শিবচরে ভুল চিকিৎসায় পলি আক্তার (৩০) নামের এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ৮ জানুয়ারি সোমবার দুপুর ১টার দিকে শিবচর পৌরসভার ৭১ সড়কের মা ও শিশু (প্রা:) হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়। এ সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলে রাত ৮টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

নিহত পলি আক্তার ( ৩০)  শিবচর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের খানকান্দি এলাকার লিটন শেখের স্ত্রী ও উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের খবির মোল্লার মেয়ে।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল ৯টার দিকে পলিকে সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য শিবচর পৌরবাজারের একাত্তর সড়কের মা ও শিশু (প্রা:) হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আনা হয়। সেখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পলিকে ভর্তি করে রোগীর স্বজনদের ৫-৬ ব্যাগ রক্ত ও প্রয়োজনীয় ওষুধের ব্যবস্থা করতে বলে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী রক্ত ও ঔষধ ব্যবস্থা করেন তারা। দুপুর ১টার দিকে রোগীকে সিজারের জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ডাক্তার ফাহমিদুল হাসান তনু নামে একজন চিকিৎসক অপারেশন করেন। 

এ সময় ছেলে সন্তানের প্রসব করেন পলি। তবে অপারেশনের পরই প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হয় তার। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রক্ত বন্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে যান। সন্ধ্যা পর্যন্ত ৫ ব্যাগ রক্ত রোগীকে শরীরে দেওয়া হয়। তাতে কোন কাজ না হওয়ায় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করে। ঢাকায় নেয়ার পথে রাত ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় রাত ১১টার দিকে শিবচরের মা ও শিশু (প্রা:) হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে ওই হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করেন রোগীর স্বজনরা। পরে জড়িতদের বিচারের আশ্বাসে তারা ফিরে যান।

রোগীর শাশুড়ি সাহেদা বেগম বলেন, আমার বৌমাকে তারা মেরে ফেলছে। কেন আগে বললো না রোগীর অবস্থা খারাপ। আমার বউ বিএ পাশ। আল্লাহ আমাকে ফুটফুটে একটি নাতি দিয়েছেন। আমি ওদের বিচার চাই।

রোগীর ননদ শিউলি বলেন, আমার ভাইয়ের স্ত্রীকে সকালে হাসপাতালে আনি। তারা ১০ হাজার টাকায় আমাদের সাথে সিজার করা বাবদ চুক্তি করেন। সিজারের পরে কষ্ট বেশি হয়েছে বলে তারা আরও ৫ হাজার টাকা দাবি করে। তখন আমরা বলছি, রোগী সুস্থ হোক আমরা দিবো। তবে রোগীর যে অবস্থা খারাপ তারা সেটা বলেননি। আমরা জিজ্ঞেস করি, রোগী বেডে আনেন না কেন? ওরা বলে রোগী ভলো আছে। টেনশন কইরেন না। রক্ত ম্যানেজ করতে বলে তাও করছি। রক্ত ক্রসম্যাচিং করার জন্যও অনেক টাকা নিছে তাও দিছি। রাতে বলে, রোগীর অবস্থা ভালো না, তাকে আপনারা ঢাকা নিয়ে যান। তখন দেখি আমার ভাবীর জ্ঞান ফেরেনি। পরে আমরা ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। আমরা এদের বিচার চাই।

এ বিষয়ে জানতে ডাক্তার ফাহমিদুল হাসান তনুকে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি। হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শারমিন আক্তার বলেন, কেন যে এমন হলো আমরা বলতে পারবো না। এই ডাক্তার তো আমাদের এখানে কলিংয়ে আসে। তার বাড়ি ফরিদপুর। নিয়মিত সিজার করেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের রিপোর্ট না করারও অনুরোধ করেন।

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সুব্রত গোলদার ৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে বলেন, বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। তবে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ







ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনের মৃত্যু
২১ নভেম্বর ২০২৪ রাত ০৮:০৫:৩৩