শ্রীবরদী (শেরপুর) প্রতিনিধি: শেরপুর জেলার শ্রীবরদীতে মাঠে মাঠে রোপা আমন ধানের সোনালী ঝিলিক দেখা যাচ্ছে । এ যেন কৃষকের রঙিন স্বপ্ন। কার্তিকে নবান্ন উৎসবে মেতে উঠবে বাঙলার কৃষক। মাঠের মনোরম দৃশ্যটি দেখে আনন্দিত কৃষকরা। অনাবৃষ্টি, পোকার আক্রমণসহ বিভিন্ন রোগবালাইয়ের পরও এবার আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। প্রতিটি শীষ যেন কৃষকের স্বপ্ন আর উজ্জল ভবিষ্যতের জানন দিচ্ছে। ২ দিন পরেই ঘরে আসতে শুরু করবে তাদের সোনালী স্বপ্ন ধান। অনেকে আবার আলু, পেয়াজ, রসুন, সরিষা, লাউসহ শীতকালীন আগাম সবজিও ফলাচ্ছেন।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, এবছর আমন ধান চাষে কষ্ট করতে হয়েছে তাদের। মৌসুমের শুরুর দিকে বৃষ্টির অভাবে সেচ দিয়ে ধান চাষ করতে হয়েছে। পরে বেশ কয়েকদিন মটর বা শ্যালো মেশিন দিয়ে সেচও দিতে হয়েছে। অন্যদিকে দুঃচিন্তায় ফেলেছে কারেন্ট পোকার আক্রমণ। এবছর তাই ধানের ন্যায্য দাম নির্ধারণ করতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে স্থানীয় কৃষকরা।
কৃষক সুক্কুর মিয়া জানায়, এখন ধান কাটার প্রস্তুতি নিচ্ছি। ২-৩ দিন পর ঝাড়াই-মাড়াই শুরু করবো। আল্লাহর রহমতে ধান ভালোই দেখা যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যেন ধান ভালোই হয়। আল্লাহ যেন কোনো রোগবালাই বা দূর্যোগ না দেয়। ধানের দাম ও শ্রমিকের দাম ন্যায্য থাকলে আমাদের জন্য ভালো হয়।
শ্রমিকের মজুরির কথা জানতে চাইলে বলেন, বর্তমানে শুধু ধান কাটা ৫০০ টাকা এবং ক্ষেত থেকে বাড়িতে আনতে ৬০০ টাকা মজুরি দিতে হচ্ছে। যদি পুরোদমে কাটা-মারাই শুরু হয় তখন শ্রমিকের মজুরি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
উপজেলার কৃষি অধিদফরের সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলায় আমন ধানের চাষ হয়েছে ১৭ হাজার ৮১২ হেক্টর জমিতে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available