• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ১২:৪৬:১৮ (22-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ১২:৪৬:১৮ (22-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

ভেদরগঞ্জে খাদ্য কর্মকর্তার চাল চুরি নিয়ে মহাকাণ্ড

২৫ নভেম্বর ২০২৩ দুপুর ১২:৪৪:৪৬

ভেদরগঞ্জে খাদ্য কর্মকর্তার চাল চুরি নিয়ে মহাকাণ্ড

শরীয়তপুর প্রতিনিধি: সরকারি চাল অবৈধভাবে মজুত ও জব্দ করা আলামত নষ্ট করার চেষ্টা করায় সামঘিক বরখাস্থ করা হয়েছে ভদরগঞ্জ উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে। অভিযুক্ত সরকারি কর্মকর্তার নাম মো. ইকবাল মাহমুদ। ২২ নভেম্বর ঢাকা আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জিএম ফারুক হোসেন পাটওয়ারী সাক্ষরিত এক চিঠিতে এ সংক্রান্ত আদেশ দেয়া হয়।

২৪ নভেম্বর শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোশারফ হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানা, এর আগে অভিযুক্ত কর্মকর্তা মো. ইকবাল মাহমুদকে ভেদরগঞ্জ থেকে রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক হিসেবে বদলি করা হয়েছিলো।

তিনি আরও জানান, ঢাকার আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জিএম ফারুক হোসেন পাটওয়ারীর একটি চিঠি বুধবার শরীয়তপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়। ঐ চিঠি বৃহস্পতিবার রাতে শরীয়তপুরের খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে এসে পৌঁছায়।

এদিকে চাল আত্মসাতের ঘটনা তদন্তের সময় তদন্ত কমিটির সহায়তায় বাইরে থেকে ১৮ টন চাল এনে গুদামের হিসাব সমন্বয়ের অভিযোগ উঠেছে। ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল মামুন দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদকে) এমন একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। যদিও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এর আগে গত ১১ নভেম্বর খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৩ বস্তা চাল ও ১১০০ খালি চালের বস্তা অবৈধভাবে মজুত রাখার দায়ে ভেদরগঞ্জ উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল মাহমুদের বাসভবনটি সিলগালা করে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ ঘটনার পরদিন সন্ধ্যায় সেই সিলগালা বাসভবনের জানালার গ্রিল কেটে মালামাল সরানোর সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন ইকবাল মাহমুদ।

এ ঘটনায় ইকবাল মাহমুদকে ভেদরগঞ্জ উপজেলা খাদ্যগুদাম থেকে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক হিসেবে বদলি করা হয়। এখন ঐ কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করলো ঢাকা আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়।

এ ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করতে ১৩ নভেম্বর ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক। এতে সদস্য করা হয় ভেদরগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নুরুল হক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের কারিগরী খাদ্য পরিদর্শক মিজানুর রহমান ও জাজিরা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সেলিম আহমদকে। তদন্তকালে খাদ্য গুদামে ১৮ টন চালের ঘাটতি দেখা দিলে ১৪ নভেম্বর ১০ টন চাল ও ১৫ নভেম্বর ৮ টন চাল ট্রাকে করে বাইরে থেকে এনে ঐ ৩ তদন্তকারী কর্মকর্তার উপস্থিতিতেই তাদের চালের হিসাব বুঝিয়ে দেন খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা ইকবাল মাহমুদ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ঐ তদন্তকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

শরীয়তপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোশারফ হোসেন বলেন, ভেদরগঞ্জের খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল মাহমুদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছিলো সেগুলো তদন্ত করা হয়েছে। তিনি সরকারি চাল অবৈধভাবে মজুত করেছিলেন। তদন্ত প্রতিবেদন বিভাগীয় খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে পাঠানো হয়েছিলো। তারই পরিপ্রেক্ষিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ







ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনের মৃত্যু
২১ নভেম্বর ২০২৪ রাত ০৮:০৫:৩৩