শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুরে ১১ বছরের এক শিশুকে অপহরণের পর শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১ আগস্ট মঙ্গলবার তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। নিহত শিক্ষার্থীর নাম মো. হৃদয় খাঁন নিবিড়। সে সদর উপজেলার খিলগাঁও এলাকার মনির খানের ছেলে এবং স্থানীয় শিশুকানন কিন্ডার গার্টেনের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।
জানা যায়, সদর উপজেলার খিলগাঁও এলাকার মনির খানের ছেলে হৃদয় ৩১ জুলাই সোমবার বিকেল নিখোঁজ হয়। সন্ধ্যার দিকে হৃদয়ের মা নিপা আক্তারের মুঠোফোনে ফোন করে ছেলেকে অপহরণের কথা জানায় দুর্বৃত্তরা। এসময় তাকে মুক্তি দেয়ার শর্তে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে তারা। নিপা আক্তার ঘটনাটি তাঁর স্বজনদের জানালে দ্রুত পালং মডেল থানায় অভিযোগ করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে হৃদয়কে উদ্ধারে মাঠে নামে পুলিশ। তারা ঐ মুঠোফোন নম্বরের সূত্র ধরে ৪ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতাররা হলেন, পাবনা জেলার সিংগা বাজারের ছব্বুর মিয়ার ছেলে সিয়াম (২০), শরীয়তপুরের খিলগাঁওয়ের জলিল গাজীর ছেলে শাকিল গাজী (১৮), আমির হোসেন গাজীর ছেলে তুহিন গাজী (১৫) ও শাওন (১৭)। এর মধ্যে আটক সিয়াম অপহরণের শিকার হৃদয়ের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
পরে আটকদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ স্থানীয় মনির খানের বাড়ির পাশের একটি ইটভাটার গর্ত থেকে নিখোঁজ হৃদয়ের মরদেহ উদ্ধার করে।
হৃদয়ের চাচা নাসির খান গনমাধ্যমকে বলেন, আমার ভাইয়ের ছেলেকে দুর্বৃত্তরা টাকার জন্য অপহরণের পর হত্যা করে। আমারা স্বপ্নেও এটা ভাবতে পারিনি। ওরা ফোন করে আমাদের কাছে টাকা চেয়েছে কিন্তু মোটেও সময় দেয়নি। পুলিশ নিয়ে আমরা হৃদয়কে জীবিত উদ্ধারের চেষ্টা করি। কিন্তু তার আগেই সবকিছু শেষ। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। আর কোন মায়ের কোল যেন এভাবে খালি না হয়।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, হৃদয়কে অপহরণ করে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়েছিলো দুর্বৃত্তরা। এমন খবর পেয়ে আমরা তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে অপহরণে জড়িতদের শনাক্ত করে আটক করি। কিন্তু এর আগেই তাঁরা শিশুটিকে হত্যা করে। মাথায় আঘাত করে এবং গলাটিপে হৃদয়কে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না আমরা তা শনাক্তের জন্য কাজ করছি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available