গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে শ্বশুর বাড়ির লোকদের ফাঁসাতে নিজের কান কেটে মামলা করলেন জামাই রমাজান মোল্লা। মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শাশুড়ি আসমা বেগম।
৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার বেলা ১টায় উপজেলা কাশিয়ানী ইউনিয়নের বরাসুর গ্রামে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি করেন আসমা বেগম।
ভুক্তভোগী পরিবার বলেন, আমেনা বেগমের দাবি আমার ছোট মেয়ে মারুফা খানমকে ২ বছর আগে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা মালেঙ্গা গ্রামের নজরুল ইসলাম মোল্লার ছেলে রমজানের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিন পর থেকে যৌতুকের দাবি করে আসছে৷ রমজান আমার মেয়েকে বিভিন্ন অজুহাতে শারীরিক নির্যাতন করত। চার মাস আগে আমার মেয়ের একটা ছেলে সন্তান জন্ম হয়। সন্তান জন্ম নেওয়ার ২১ দিন পর বেধড়ক মারপিট করে। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শিশু সন্তান নিয়ে আমাদের বাড়িতে চলে আসে। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় মুঠোফোনে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। ১৬ জানুয়ারি রমজান একটি প্রাইভেট কার নিয়ে আমাদের বাড়িতে আসে তার চার মাসের সন্তানকে নিয়ে যায়। আমরা গোপালগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় ১৭ জানুয়ারি ফেরত পাই। ২৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কাশিয়ানী থানা পুলিশ এসে আমি ও আমার স্বামী সিরাজ সিকদার গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
পরে জানতে পারি জামাই রমজান মোল্লা নাকি আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। মামলায় উল্লেখ করেছে আমাদের বাড়ি থেকে ১৮ জানুয়ারি রমজানকে কুপিয়ে কান কেটেছে। এছাড়া মামলায় আরও উল্লেখ করেছে তার সামনের দাঁত ভেঙে দিয়েছে। আমার মেয়ের বিয়ের আগেই তার সামনের দাঁত ভাঙা দেখেই মেয়ে বিয়ে দিয়েছিলাম। রমাজান ১৬ জানুয়ারি পর আমাদের বাড়িতে আসেনি। প্রশাসনের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার মোবাইল কল লিস্ট অনুযায়ী সে গোপালগঞ্জে ছিল। নিজে কান কেটে আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে বৃদ্ধ বয়সে জেল-হাজতে যেতে হলো। ৩০ জানুয়ারি আদালত আমাকে জামিন দিলেও আমার স্বামী জেলা হাজতে রয়েছে। প্রশাসনের কাছে আমার দাবি তারা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সত্য প্রকাশ করুক। আমরা ন্যায় বিচার দাবি করছি।
এ সময় তার মেয়ে মারুফা বেগম, চাচি চয়নিকা বেগম, মরিয়ম বেগম ও মোমেনা বেগম উপস্থিত ছিলেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available