সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীর ডিমলায় বিবাহিত শিক্ষক-শিক্ষিকার প্রেম চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে এলাকায়। ওই শিক্ষিকার স্বামী ও তিন শিশু সন্তান রয়েছে, অপরদিকে কথিত প্রেমিক শিক্ষকেরও তিন সন্তান ও স্ত্রী আছে। ওই দুই শিক্ষক-শিক্ষিকা একই স্কুলে চাকরি করতেন। এ সুবাদে উভয়ের মধ্যে গড়ে ওঠে সম্পর্ক। এক পর্যায়ে ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার তারা উভয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান। তবে পালিয়ে যাওয়ার সময় প্রেমিকা তার তিন শিশু সন্তানকে সাথে নিয়ে গেছেন।
এ ঘটনায় ৬ ডিসেম্বর বুধবার শিক্ষিকার স্বামী মহির উদ্দিন বাদী হয়ে ডিমলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক সহিদুল ইসলাম (৪০) ডিমলা উপজেলার গয়াবাড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম খড়িবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা এবং রাসলিয়া আক্তার নামের ওই শিক্ষিকাও (৩৫) একই গ্রামের বাসিন্দা। তারা দুজনই খড়িবাড়ি শহীদ স্মৃতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
শিক্ষকের প্রথম স্ত্রী বলেন, বিয়ের পর থেকেই আমার স্বামীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ পেয়েছি। সংসার নষ্ট হবে তাই আমি সব সহ্য করে চুপ ছিলাম।
শহীদ স্মৃতি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ময়েন উদ্দিন বলেন, এটি প্রেম নয় শয়তানি। উভয়েরই সন্তান ও সংসার আছে। তাছাড়া ওই দুইজন একই স্কুলের শিক্ষক। শেষ বয়সে তারা যে কাজটি করলো, এটা শয়তানি ছাড়া কিছু না। আমি ঘটনা জানার পর বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। বর্তমানে ওই দুই শিক্ষক বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত।
এ বিষয়ে জানতে ওই শিক্ষক ও শিক্ষিকাকে একাধিকবার ফোন করে তাদের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
ডিমলা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সাজ্জাদুজ্জামান জানান, ওই দুই সহকারী শিক্ষকের বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভায় আলোচনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে ৯ ডিসেম্বর শনিবার রাতে ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ রায়ের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, শিক্ষিকাসহ তার সন্তানদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available