মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি: পেনশনের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতি।
২৫ মার্চ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ. এস. এম সাইফুল্লাহ এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. মাসুদার রহমানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১৩ মার্চ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা একটি প্রজ্ঞাপন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির দৃষ্টিগোচর হয়েছে এবং এ বিষয়ে মাভাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি গভীর উদ্বেগ ও শঙ্কা প্রকাশ করছে।
যেখানে বলা হয়, ‘সকল স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানসমূহের চাকরিতে যে সকল কর্মকর্তা বা কর্মচারী, তারা যে নামেই অভিহিত হউন না কেন, ১ জুলাই ও তৎপরবর্তী সময়ে নতুন যোগদান করিবেন, তাদের সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত করলো। হঠাৎ করে এ ধরনের বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন জারির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য অমর্যাদাকর।
এ ব্যাপারে মাভাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ. এস. এম সাইফুল্লাহ বলেন, প্রজাতন্ত্রের অন্য সকল কর্মচারীদের প্রচলিত পেনশন সুবিধার আওতায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সর্বজনীন পেনশনের আওতাভুক্ত করা একটি মর্যাদাহানিকর, দুরভিসন্ধিমূলক হঠকারী সিদ্ধান্ত। একটি মহল সবসময় শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে যেমন অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় তেমনি শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রচলিত পেনশন সুবিধা বহাল এবং সাথে শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের জোর দাবি জানাচ্ছি।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মাসুদার রাহমান বলেন, এ ধরনের বৈষম্যমুলক নীতি মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় আসতে নিরুৎসাহিত করবে। মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নত দেশ গড়ার যে স্বপ্ন, সেই স্বপ্ন পূরণ বাধাগ্রস্ত হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available