মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি: অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তকরণ এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে মানববন্ধন করেছে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (মাভাবিপ্রবিশিস)। ২৬ মে রোববার সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানসহ শিক্ষকমণ্ডলী মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে মাভাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. এ, এস, এম সাইফুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মো. মাসুদার রহমান, নির্বাহী সদস্য ড. মো ওমর ফারুক, প্রফেসর ড. মো. ফজলুল করিম, প্রফেসর ড. লুতফুন নেসা বারি, সিপিএস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নুরজাহান খাতুন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কাছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপনের বিষয়ে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. এ, এস, এম সাইফুল্লাহ বলেন, প্রজাতন্ত্রের অন্য সকল কর্মচারীর প্রচলিত পেনশন সুবিধার আওতায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সর্বজনীন পেনশনের আওতাভুক্ত করা একটি মর্যাদাহানিকর, দুরভিসন্ধিমূলক হঠকারী সিদ্ধান্ত। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অনতিবিলম্বে পেনশন স্কিমের জারিকৃত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। ২৮ তারিখ আমরা কর্মবিরতি পালন করবো। যদি আমাদের দাবি না মেনে নেওয়া হয় পর্যায়ক্রমে কর্মবিরতি চলতে থাকবে। আমরা চাই প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে স্বপ্ন দেখছন, সেখানে শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম আরও বেগবান করবেন।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মাসুদার রহমান বলেন, শিক্ষা একটি জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষকতা পেশায় মেধাবীদের আকৃষ্ট করতে যেখানে সুযোগ-সুবিধা অবারিত করবার কথা, তা না করে তা সংকুচিত করা হচ্ছে। এর ফলে মেধাবীরা এই পেশায় আসতে নিরুৎসাহিত হবে। সেটা হলে মেধাবী ও কেয়ালিটি সম্পন্ন গ্রাজুয়েট পাওয়া কঠিনতর হয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ যে বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন দেখছেন, তা কষ্ট সাধ্য হবে বলে আমি মনে করি। তাই মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় আসতে উৎসাহিত করতে বৈষম্যমূলক পেনশন নীতিমালা বাতিল করে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করে উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পথকে তরান্বিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।
এর আগে, গত ১৩ মার্চ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় কতৃর্ক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, যে সকল শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারী ১ জুলাই, ২০২৪ তারিখের পর যোগদান করবেন তাদের জন্য সার্বজনীন পেনশন স্কিমের 'প্রত্যয় স্কিম' বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তাদের ক্ষেত্রে উক্ত প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার জন্য বিদ্যমান অবসর সুবিধা সংক্রান্ত বিধিবিধান প্রযোজ্য হবে না।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available