অমৃত রায়, জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী আবাস বলে পরিচিত পুরাতন বানী ভবনে বেহাল দশায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা। নেই বিদ্যুৎ, নেই পানি, নেই জীবনের নিরাপত্তা। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই সেখানে থাকছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী এবং অস্থায়ীভাবে কর্মরত অফিস সহকারী, বাস এসিস্ট্যান্টসহ বিভিন্ন শাখার কর্মচারীরা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নেই বিশ্ববিদ্যালয় স্বীকৃত কোনো আবাসন ব্যবস্থা। বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সহযোগী বা কর্মচারীদের অধিকাংশের চাকরিই অস্থায়ী। তাদের বেতন-ভাতা পর্যাপ্ত না হওয়ায় ঢাকায় স্বচ্ছন্দের সাথে থাকাও সম্ভব হয় না।
জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বানী ভবন হল নামে পরিচিত এই ভবনটি স্থানীয় অসাধু নেতাকর্মীরা দখলে নিয়েছিল। তখন সেখানে নেশাদ্রব্যের আখড়া ছিলো। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে এটি দখলমুক্ত করে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরবর্তীতে সমঝোতার মাধ্যমে হলের অনেকটা জায়গা হারালেও দখল পায় বেশ কিছুটা অংশ। সেখানে সংস্কার বিহীন অবস্থায় একটি মন্দিরও আছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মচারী জানান, আমি ২০ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করি। যে বেতন পাই তা বাড়িতেই লাগে। নিজের চলার মতো তেমন কিছুই থাকে না।
এখানে থাকলে অন্তত ভাড়াটা বেঁচে যায়। ভাঙ্গা ঘর ঝুঁকি আছে। তবু টাকা বাঁচাতেই এখানে থাকা।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো আবাসিক ব্যবস্থা নাই। তাই এই বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’
এস্টেট অফিসার মো. কামাল হোসেন সরকার বলেন, ‘ওখানে আগে একসময় ছাত্ররা থাকতো। বহুদিন আগেই বিদ্যুতের লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে। আর পানির ব্যবস্থাও নাই। রাজউক থেকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা দিয়ে ওই বিল্ডিং ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখন যারা সেখানে থাকে, তারা সম্পূর্ণ নিজ দায়িত্বে থাকে।’
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available