কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: ‘আমি তোকে না পাঠালে আজ এমন হতো না। কই গেলিরে মুনি। পাঁয়ে ধরি ফিরে আই। আপনাদের পাঁয়ে ধরি যেখান থেকে পারেন ছেলেকে আনে দেন।’ একমাত্র সন্তান হারানোর শোকে কাঁন্নায় ভেঙে পড়ে কথাগুলো বলছিলেন মোছা. রাশিদা বেগম। তিনি কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের বাঁশআড়া গ্রামের ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী।
গত ২৭ জুন দুপুরে কুমারখালী জনতা ব্যাংক শাখায় নগদ পাঁচ লাখ টাকা জমা দিতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন রাশিদা-রাজ্জাক দম্পতির একমাত্র সন্তান নাজমুস সাকিব (১৭)। সে কুষ্টিয়া সেন্ট্রাল কলেজে চলতি শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে। সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে ঘটনার দিন রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন তার বাবা।
এছাড়াও নিখোঁজের তিন দিন অতিবাহিত হলে কলেজ ছাত্র সাকিবের সন্ধান পাননি তার স্বজনরা। সেজন্য সন্তানের সন্ধান চেয়ে ৩০ জুন রোববার দুপুরে নিজবাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছেন পরিবারটি।
সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, গত ২৭ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমারখালী জনতা ব্যাংকে তার হিসাব নম্বরে নগদ পাঁচ লাখ টাকা জমা দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়েছিল তার ছেলে সাকিব। কিন্তু সে ব্যাংকে টাকাও জমা দেয়নি। আবার বাড়িতেও ফিরে আসেনি। এরপর সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে তিনি ঘটনার দিন রাতেই থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
তিনি আরো জানান, টাকার জন্য অজ্ঞাত কেউ তার ছেলেকে গুম করতে পারে। বা তার ছেলের সাথে খারাপ কিছুও ঘটতে পারে। তিনি দ্রুত তার ছেলেকে জীবিত উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানতে চাইলে কুমারখালী জনতা ব্যাংক পিএলসি শাখার ব্যবস্থাপক বদিউজ্জামান বাবলু জানান, আব্দুর রাজ্জাক একজন ভালো ব্যবসায়ী। নিয়মিত তার ব্যাংকে লেনদেন করেন তিনি। তবে সেদিন রাজ্জাকের হিসাব নম্বরে কোনো লেনদন হয়নি। বা তার ছেলেও ব্যাংকে আসেনি।
কুমারখালী থানার ওসি মো. আকিবুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন নিখোঁজ ছাত্রের বাবা। তাকে উদ্ধারে কাজ করছে পুলিশ।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available