তানভীর আহাম্মেদ, কাহারোল (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের কাহারোলে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইবনে মাসুদের বিরুদ্ধে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে অবৈধভাবে পদায়ন আদেশ সংশোধনের নামে ৬ জন প্রধান শিক্ষককেকে বদলীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার কাহারোল উপজেলার চকমহরম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি নেপাল চন্দ্র রায় শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবর প্রধান শিক্ষকের অবৈধভাবে বদলির আদেশ বাতিল করে দ্রুত তদন্তের জন্য আবেদন করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কাহারোল উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইবনে মাসুদ মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ২০১৮ সালে ৬ টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ভুয়া মামলা দেখিয়ে বদলী করেছেন। গোপালপুর- ১ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিলকিস আরা বেগমকে মুকুন্দপুর আদিবাসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অবৈধভাবে পদায়ন করেছেন। একই বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠাতা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পবীন্দ্র নাথ অধিকারী ২০১৮ সালে অবসরে যান। ডাবোর দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রধান শিক্ষক হুসনে আরা খাতুনকে ইটুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করেছেন এবং ঐ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম ২০১১ সালের স্বেচ্ছায় অবসরে যান। সাদুল্যাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রধান শিক্ষক মর্ম চন্দ্র রায়কে হাতিশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পদায়ন করেন এবং এ বিদ্যালয় কোন মামলা স্থগিতাদেশ নেই। সাবেক উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আফজাল হোসেন প্রত্যয়ন দিয়েছেন। গুলিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি দ্বিতীয় ধাপে জাতীয়করণ হওয়া বিদ্যালয় অথচ প্রধান শিক্ষক সুর্য মোহন রায়কে তরলা আদিবাসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়েছে। রনগাঁও ভুলিয়া বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি দ্বিতীয় ধাপে জাতীয়করণ হয়েছে কিন্তু প্রধান শিক্ষক প্রফুল্ল কুমার রায়কে পাহাড়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পাঠানো হয়। বেড়গাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি দ্বিতীয় ধাপে জাতীয়করণ হয় এবং প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নানকে সরঞ্জা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়। একই স্কুলের শিক্ষক বিলকিস আরা বেগমের কাছ থেকে পদায়নের আদেশ সংশোধনের নামে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়া হয়।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইবনে মাসুদের বক্তব্য নিতে গেলে তিনি টাকার বিনিময়ে সংবাদ প্রচার না করার প্রলোভন দেন। তাতে রাজি না হওয়ায় কৌশলে তার অফিসে ডেকে নিয়ে এ প্রতিবেদকের উপর তার অনুগত শিক্ষক নেতাদের নিয়ে হামলা চালান।
হামলা ও দুর্নীতির ঘটনায় মতামত জানতে সাবেক দিনাজপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হোসেন আলীর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। ওরা আমার সিগনেচার জাল করেছে।
দুর্নীতিবাজ শিক্ষা কর্মকর্তার এমন অবৈধ কর্মকান্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা ।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available