নওগাঁ প্রতিনিধি: নিখোঁজের ১৭ দিন পর শিশু সোহানকে ফিরে পেলো তার পরিবার। শিশুকে ফিরে পেয়ে আবেগে আল্পুত হয়ে যান তার বাবা। সোহান নওগাঁ সদর উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। সি শিমুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।
২৯ মে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা থেকে ছেলেকে সাথে নিয়ে নওগাঁর পথে রওয়ানা দিয়েছেন শিশুটির পরিবার। গত ১২ মে এক দুপুরে শিশু সোহান বাড়ির পাশে পুকুরে গোসল করছিল। এ সময় তার বাবা ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। বাবাকে দেখে ভয় পেয়ে সেদিন আর বাড়ি ফিরে যায়নি সোহান।
এদিকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সে বাড়ি না ফিরায় পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুজি করে। ২৮ মে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকা উত্তরা ১ নম্বর মেট্রো রেলের পাশে চায়ের দোকানে শাকিব উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি শিশুটিকে দেখে পরিচয় জানতে চান। শিশুটি জানায়, তার বাড়ি নওগাঁর শিমুলিয়া গ্রামে এবং অভিভাবককে হারিয়ে ফেলেছে।
এরপর শিশুটির একটি ছবি তুলে অভিভাবকদের সন্ধান চেয়ে সাদিয়া সারওয়ার নামে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করা হয়। ফেসবুকের মাধ্যমে ছেলের সন্ধান পান রফিকুল ইসলাম। সোহানের বাবা বলেন- সোহান আমার একমাত্র ছেলে। ছেলে নিখোঁজ হওয়ার বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে না পেয়ে অবশেষে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
তিনি আরও বলেন- নিখোঁজের দিনে ছেলে বাড়ি থেকে সান্তাহারে গিয়ে ট্রেনে করে ঢাকায় চলে আসে। এরপর বিভিন্ন হোটেলে কাজ করত এবং রাস্তায় ঘুমাতো। এভাবে কেটে যায় ১৭দিন।ঢাকায় থাকা মানবিক ব্যক্তি শাকিব উদ্দিনের মাধ্যমে ছেলের খোঁজ পেয়ে ঢাকায় চলে আসি। ছেলেকে নিয়ে নওগাঁর পথে রওয়ানা দিয়েছি।
মানবিক ব্যক্তি শাকিব উদ্দিনের বাড়ি নওগাঁর মান্দা উপজেলায়। তিনি ঢাকায় ড্রাইভার (চালক) হিসেবে কাজ করেন। তিনি বলেন- মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ৬টার দিকে ঢাকা উত্তরা ১ নম্বর মেট্রো রেলের পাশে শিশু শাকিব উদ্দিন চায়ের দোকানে পানি পান করতে যায়। তাকে একা ঘুরতে দেখে দোকানি তার কাছে জানতে চায় বাড়ি কোথায়। তার সাথে কেউ আছে কি না। এর আগে দোকানিসহ আশপাশের লোকজন তাকে কেউ কখনো দেখেনি। শিশু হওয়ায় দোকানিরা তাকে বসিয়ে রাখে। এ সময় আমি ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলাম। লোকজনের ভিড় দেখে সেখানে জানতে চাইলে বলে শিশুটির বাড়ি নওগাঁতে।
তিনি আরো বলেন- যেহেতু আমার বাড়ি নওগাঁ লোকজনকে বলে শিশুকে বাসায় নিয়ে আসি। ছবি তুলে আমার মোবাইল নম্বরসহ ফেসবুকে আপলোড দিলে তার অভিভাবকরা আমার কাছে ফোন করে। বুধবার সকালে শিশুটির বাবা রফিকুল ইসলাম ঢাকায় চলে আসেন। শিশুটি তার বাবাকে চিনতে পারায় বাবার জিম্মায় দেয়া হয়।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available