• ঢাকা
  • |
  • রবিবার ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ০৩:১৩:৪৫ (24-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • রবিবার ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ০৩:১৩:৪৫ (24-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

সারাবাংলা

সন্ধ্যা হলেই পিঠা বিক্রির ধুম পড়ে লক্ষ্মীপুরের ফুটপাতে

১৭ জানুয়ারী ২০২৪ সকাল ০৮:৪৫:৪৪

সন্ধ্যা হলেই পিঠা বিক্রির ধুম পড়ে লক্ষ্মীপুরের ফুটপাতে

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: শীতের আমেজ শুরু হতেই লক্ষ্মীপুরের অলিগলি, পাড়া-মহল্লা ও হাটবাজারে পিঠাপুলির পসরা সাজিয়ে বসে যান দোকানিরা। বাহারি সব পিঠাপুলি নজড় কাড়ছে পিঠাপ্রেমীদের। সন্ধ্যা হলেই পিঠাপুলির দোকানগুলোতে বেচা-বিক্রির ধুম পড়ে। চলে গভীর রাত পর্যন্ত। সন্ধ্যার পর থেকেই জেলার জনবহুল অলিগলি ও রাস্তার পাশের দোকানগুলোতে দাঁড়িয়ে বা বসে লাইন দিয়ে পিঠা খেতে দেখা যায় অনেককেই।

শীত মৌসুমে প্রতিটি বাড়িতে পিঠাপুলি বানানোর অয়োজন গ্রামবাংলার চিরচারিত রীতি। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে ঘরে ঘরে পিঠাপুলি তৈরির আয়োজন এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। ব্যস্ততা ও পারিপার্শ্বিক সমস্যায় নিজ হাতে পিঠাপুলি তৈরির আয়োজন কমে গেলেও পিঠাপ্রীতি ও ভোজন কিন্তু থেমে নেই। পিঠাপ্রেমীরা এখন দোকানের পিঠার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন। বাড়িতে পিঠা বানানোর ঝামেলা এড়াতে অনেকেই দোকান থেকে পিঠা ক্রয় করে স্বাদ মেটাচ্ছেন। আর এ পিঠা বিক্রি করেই জীবিকা নির্বাহ করছেন অনেকে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, চুলার অল্প আঁচে ধোঁয়া উঠছে। তৈরি হচ্ছে সুস্বাদু চিতই, ভাপাসহ অন্যান্য পিঠা। আর চুলা থেকে নামানোর পর মুহূর্তেই তা চলে যাচ্ছে ক্রেতার হাতে। দোকানে ভাপা, পাটিশাপটা, তেলের পিঠা ও চিতই পিঠা বিক্রি হলেও চিতই আর ভাপা পিঠার চাহিদাই বেশি। চিতই পিঠার সঙ্গে সরিষা ভর্তা, শুঁটকি ভর্তা, মরিচ ভর্তা ও ধনিয়াপাতা ভর্তা, গুড় ও নারিকেল দেওয়া হয়।

ডিম দিয়েও বানানো হয় চিতই পিঠা। ক্রেতারা রাস্তার পাশে দোকানে বসে সেই পিঠা খাচ্ছেন। কেউবা আবার নিয়ে যাচ্ছেন পরিবারের জন্য।

জেলার রামগঞ্জ, রায়পুর ও লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার পাশে, মোড়ে, পাড়া-মহল্লায় ও অলিগলি আর ফুটপাতে গড়ে উঠেছে কয়েকশ মৌসুমী পিঠার দোকান।

রায়পুর এলাকায় মা ও ছেলের একটি পিঠার দোকানে কথা হয় উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ুয়া এক ছাত্রের সঙ্গে। তিনি বলেন, শীত মৌসুমে প্রায় প্রতিদিনই এখানে পিঠা খেতে আসেন তিনি।

রায়পুর উপজেলা গেইট সংলগ্ন টি,সি রোডের মুখে রাস্তার পাশে মৌসুমী পিঠা বিক্রেতা মা সাহিদা বেগম ও ছেলে মো. সেলিম বলেন, ভাপাপিঠা, চিতই পিঠা বিক্রি করেন তারা। তাদের দোকানে ভালোই বেচা-বিক্রি হয় এবং এই টাকাতে সংসার ভালোই চলছে তাদের।

রামগঞ্জের পিঠা বিক্রেতা কুড়িগ্রামের শাওন বলেন, এখানে ভাই ও মামার কাছে বেড়াতে এসেছি। প্রতিদিনই উনারা উনাদের কর্মস্থলে চলে যান। আমি একাকি সময় পার করি। তাই, বেকার সময় না কাটিয়ে পিঠা বিক্রি করছি। এতে সব খরচ বাদে প্রতিদিন ৪শ থেকে ৬শ টাকা আয় হচ্ছে তার।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ