নীলফামারী প্রতিনিধি: কয়েকদিন ধরে চলা কর্মবিরতি শেষে কাজে ফিরেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে স্বাভাবিক কার্যক্রম। নীলফামারীর ৬ থানায় আনুষ্ঠানিকভাবে সকল প্রকার আইনি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অন্যান্য দিনের মতো সাধারণ ডায়েরি (জিডি), হারানো জিডি, মামলা গ্রহণসহ থানাগুলোতে পুলিশের উপস্থিতিতে স্থানীয়দের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
১১ আগস্ট রোববার বিকালে জেলার ডোমার থানার সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভার মধ্য দিয়ে ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ, সৈয়দপুর ও সদর থানার সকল আইনি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার (এসপি) মোকবুল হোসেন।
ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিন আলী বলেন, ‘ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে থেকে সবাইকে দেশের জন্য নিরলসভাবে কাজ করতে হবে। দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে জনগণের কল্যাণ আশা করা যায় না।
সোমবার ১২ আগস্ট সকালে পুলিশ সুপার মোকবুল হোসেন বলেন, আমরা সবাই রাষ্ট্রের নাগরিক। সবার অধিকার সমান। গুজব ছড়িয়ে মানুষের মাঝে ভয়ভীতি তৈরি না করার অনুরোধ জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। একটি কঠিন পরিস্থিতিতে থানার স্বাভাবিক কার্যক্রম সাময়িক বিঘ্নিত হয়েছিল।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, ডোমার থানার ওসি মহসিন আলী, এসআই আমজাদ হোসেন, মিজানুর রহমান, সেনাসদস্য আবু হানিফ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। সভায় পেছনের সব সমস্য দূরে ফেলে এখন থেকে পুলিশ সদস্যরা জনগণের বন্ধু হয়ে পাশে থেকে কাজ করার ঘোষণা দেন।
অপরদিকে, জেলায় যানজট নিয়ন্ত্রণে যোগ দিয়েছে ট্র্যাফিক বিভাগ। সদর ট্র্যাফিক ইনচার্জ জ্যোর্তিময় রায় জানান, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর থানায় পিকেটিং, হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সকল কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থবির হয়ে পড়ে। পুলিশ সুপারের নির্দেশে রবিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্র্যাফিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর সরকারি বিভিন্ন স্থাপনাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষুব্ধ জনতা ভাঙচুর, পিকেটিং, অগ্নিসংযোগ ও হামলা চালিয়ে একাকার করে ফেলে। এতে নীলফামারীর ছয় থানায় সকল কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available