নিজস্ব প্রতিবেদক: একটা-দুইটা দল অংশ না নিলে নির্বাচনের ক্ষতি নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, নির্বাচন হচ্ছে স্বাধীন নির্বাচন কমিশনারের অধীনে। নির্বাচন সংবিধান মেনে হবে। কেউ যদি সে নির্বাচনে অংশ না নেয়, তাহলে নির্বাচন থেমে থাকবে না। এক-দুইটা দল নির্বাচনে অংশ না নিলে নির্বাচনের ক্ষতি নেই। নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য হবে না। নির্বাচনে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক অধিকার। কেউ যদি নিজের অধিকার প্রয়োগ না করে সেটা তাদের ব্যাপার।
১৮ অক্টোবর বুধবার সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আজ শেখ রাসেলের জন্মদিন। আজ আমরা রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করছি, আজকের এ দিবস রাসেল দিবস। একসঙ্গে সারা দেশে পালিত হচ্ছে। রাসেলের জন্মদিনে আনন্দের চাইতে তার নৃশংস মৃত্যুর বেদনাটাই মুখ্য। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলার ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংস রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। সেই রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ১০ বছরের শিশু সন্তান শেখ রাসেল। পৃথিবীতে অসংখ্য রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে কিন্তু ১৫ আগস্টের মতো নৃশংসতা, নির্মমতার হত্যাকাণ্ড আর কোথাও হয়নি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ভাঙচুর, অগ্নিসন্ত্রাস, অস্ত্র ও খুনের মামলায় আগে থেকে যারা জড়িত, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের গ্রেফতার করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নতুন করে গ্রেফতারের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ’৭৫ এ বাংলাদেশে খন্দকার মোশতাক এবং জেনারেল জিয়াউর রহমান যে হত্যা, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছিলেন– ৩ নভেম্বর জেল হত্যাকাণ্ড, ২০০৪ সালের একুশে আগস্টে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান টার্গেট করে গ্রেনেড হামলা হয়। এই ষড়যন্ত্রের প্রধান কারণ ছিল বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করা, আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করা। সেই হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি যারা বাংলাদেশের শুরু করেছিল, এখনো তারা সেই হীন রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ায়নি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির সেই ধারাবাহিকতা তারাই বহন করে চলছে, যারা জিয়াউর রহমান উত্তরসূরি। আজ জিয়াউর রহমানের দল বিএনপি একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা বহন করছে।
এর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শহীদ শেখ রাসেলের সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে বনানী কবরস্থ মসজিদে শেখ রাসেলসহ পঁচাত্তরে ১৫ আগস্টে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এতে অংশ নেন দলীয় নেতাকর্মীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস সবুর, শিক্ষা সম্পাদক সামছুন্নাহার চাঁপা, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম প্রমুখ।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available