কুমিল্লা প্রতিনিধি: মালয়েশিয়ায় ভবন ধ্বসে নিহত তিন বাংলাদেশি শ্রমিকের একজন কুমিল্লার দেবীদ্বারের সাইফুল ইসলাম। কুমিল্লার দেবীদ্বারের লক্ষীপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামে সাইফুলের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আদরের ছোট ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না তার বাবা-মা। তাদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠছে বাড়ির পরিবেশ। সরকারের কাছে স্বজনদের একটাই চাওয়া, মরদেহ যেন দ্রুত দেশে আনার ব্যবস্থা করা হয়।
নিহতের আগের দিন ক্যান্সার আক্রান্ত বাবার থেরাপির জন্য টাকা পাঠিয়েছিলেন সাইফুল। তার বাবা রোশন ভান্ডারী বলেন, আমি ক্যান্সারে ভুগছি অনেকদিন ধরে। সোমবার আমার থেরাপির জন্য ২০ হাজার টাকা পাঠিয়েছে আমার ছেলে। বুধবার আরও টাকা পাঠাবে জানিয়েছিল। এবার দেশে আসলেই বিয়ে করার কথা ছিল আমার ছেলের।
মঙ্গলবার রাতে মালয়েশিয়ার পেনাং রাজ্যে নির্মাণাধীন ভবন ধ্বসে দুই সহকর্মীসহ সাইফুল নিহত হন। এছাড়াও বেশ কয়েকজন আহত হন এবং চারজন ভবনের নিচে আটকা পড়েন।
সাইফুলের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তার মা বিলাপ করে বলছেন, ‘আমার মানিক আমাদের সুখের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রবাসে শ্রমিকের চাকরি করছে, আমাদের কখনও তার কষ্ট বুঝতে দেয় নাই। আমার মানিকের মুখটা শেষবার দেখতাম চাই, তার মরদেহটা আপনারা এনে দেন।’
ফতেহাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান মাসুদ বলেন, সাইফুলের সহকর্মীরা তার মরদেহ দেশে পাঠাবার চেষ্টা করছে। আমিও যোগাযোগ রাখছি। মরদেহ আনার জন্য সরকার সংশ্লিষ্টদের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি। আশা রাখছি, দ্রুত মরদেহ পাব।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available