রাজশাহী ব্যুরো: রাজশাহীর পদ্মা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ হওয়া ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ২ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে পদ্মা নদীর চরখানপুর এলাকা থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করে স্থানীয় এলাকাবাসী।
এর আগে ১ সেপ্টেম্বর রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজশাহীর পবা উপজেলার চর মাঝারদিয়র এলাকায় পদ্মা নদীতে ঝড়ের কবলে পড়ে নৌকাডুবির ঘটনায় চার শ্রমিক নিখোঁজ হয়েছিলেন।
এলাকাবাসী জানায়, সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পদ্মা নদীর চরখানপুরে প্রথমে রাজশাহীর পবা উপজেলার চর মাজারদিয়াড় গ্রামের এনামুল হকের ছেলে রাজু (২২), খলিলের ছেলে মোহাম্মদ আলিকে (৩৮) পাওয়া যায়। পরে রাত ২টার দিকে এন্তাজুলের ছেলে সবুজ (২১) কালামের ছেলে ফারুকের (১৮) মরদেহ পাওয়া যায়।
সকালে নিখোঁজ সবুজের বোনের স্বামী মেজারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই তাদের উদ্ধারে নদীতে নৌকা নিয়ে টহল দিচ্ছিলাম। রোববার সকালে ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান চালিয়ে চলে গেছে। তারা পায়নি। রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজু ও মোহাম্মদ আলির মরদেহ ভেসে উঠে। পরে ফারুক ও সবুজের মরদেহ পানিতে ভেসে ওঠে। আমরা তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে রেখেছি। মঙ্গলবার ৩ সেপ্টেম্বর দুপুরের মধ্যে চর মাজারদিয়াড়ে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
পবা উপজেলার ৪ নম্বর হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ডের মেম্বার হুমায়ুন কবির বলেন, রাতে তাদের মরদেহগুলো পানিতে ভেসে উঠে। পরে স্বজনরা উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়। চর মাজারদিয়াড়ে পাশাপাশি তাদের কবর করা হয়েছে। জানাজা নামাজ শেষে সেখানেই তাদের দাফন কার্য সম্পন্ন করা হবে।
এর আগে রোববার রাত ৮টার দিকে পদ্মা নদী দিয়ে ছোট নৌকায় ১৬ জন কৃষক ও শ্রমিক টমেটোর জমিতে কাজ করে এক চর থেকে আরেক চরে ফিরছিলেন। এ সময় চর মাঝারদিয়া ঘাটের কাছাকাছি আসলে নৌকা ডুবে যায়। নৌকায় থাকা ১৬ জনের মধ্যে ১২ জন সাঁতার কেটে নদীর পাড়ে আসতে পারলেও ৪ জন নিখোঁজ ছিল।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available