নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁয় সংবাদ প্রকাশের জেরে মাল্টিমিডিয়া নিউজপোর্টাল বার্তা২৪.কম-এর নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম (২৫) আবারও সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন। ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সদর উপজেলার চাকলা বাজার এলাকায় নাহিদ হোসেন নামে এক যুবকের নেতৃত্বে প্রকাশ্য ১৫-২০ জন এ হামলা চালায়।
নাহিদ নওগাঁ সদর উপজেলার বক্তারপুর গ্রামের গোলামের ছেলে ও তার সহযোগী পলাশ হরিপুর গ্রামের উকিল মিয়ার ছেলে এবং তার আরও সহযোগীদের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। আহত অবস্থায় শহিদুলকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
এর আগে ৬ অক্টোবর দুপুরে পার্শ্ববর্তী গোবিন্দপুর গ্রামে এক নব মুসলিম পরিবারকে অবরুদ্ধ রাখা সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য সংগ্রহে গেলে প্রথম দফায় হামলার শিকার হয়েছিলেন তিনি। পরে হামলাকারীদের অপকর্ম তুলে ধরে সংবাদ প্রকাশ করেছিলেন। এর জেরেই দ্বিতীয় দফায় তার ওপর আবারো সংঘবদ্ধ হামলা চালানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হামলার শিকার সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম বলেন, ১৬ অক্টোবর প্রথম দফা হামলার শিকার হয়ে নাহিদসহ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দিয়েছিলাম। এরপরই হামলাকারীরা আত্মগোপনে চলে যায়। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে হুমকি দিয়ে আসছিলো আত্মগোপনে থাকা নাহিদ বাহিনীর সদস্যরা।
এরই জেরে মঙ্গলবার ২২ অক্টোবর সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে চাকলা বাজারে চারিদিক থেকে আমাকে ঘেরাও করে নাহিদ ও তার সঙ্গে থাকা ক্যাডার বাহিনীর ১৫-২০ সদস্য। এরপরই পকেট থেকে ছুরিসহ দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র বের করে আক্রমণ চালায় তারা। নাহিদ মূলত অনলাইনে জুয়ার এজেন্ট দেয় ও অবৈধভাবে ডলার লেনদেন করে যুবসমাজকে ধ্বংস করছে প্রতিনিয়ত। নাহিদসহ তার অন্যান্য বাহিনীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম সিদ্দিকী জানান, ১৬ অক্টোবর প্রথম দফায় হামলার ঘটনাটি জানা মাত্রই তাৎক্ষণিক থানা পুলিশের একটি টিম পাঠিয়ে সাংবাদিক শহিদুলকে সেখান থেকে উদ্ধার করে আনা হয়েছিলো। এরপর থেকেই ঘটনাটি খতিয়ে দেখছিলো পুলিশ। এরই মধ্যে দ্বিতীয় দফায় আবারো তিনি হামলার শিকার হয়েছেন বলে জেনেছি। এ ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available