• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ১১:৫৬:১৫ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ১১:৫৬:১৫ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

নওগাঁয় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার সাংবাদিক শহিদুল

১৭ অক্টোবর ২০২৪ সকাল ১১:০৭:৪৫

নওগাঁয় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার সাংবাদিক শহিদুল

নওগাঁ প্রতিনিধি: সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে নওগাঁয় শহিদুল ইসলাম নামে এক সংবাদকর্মী হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি অনলাইন পোর্টাল বার্তা২৪ ডটকম’র নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি।

মারধরের পর তাকে ৩ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে অভিযুক্তরা। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশের সহযোগিতায় তার সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। বর্তমানে তিনি নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার কীর্তিপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে এ ঘঠনা ঘটে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গোবিন্দপুর গ্রামের নব মুসলিম অমিত হাসান। তার পরিবারকে বেশকিছু ধরে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী অবরুদ্ধ করে রেখেছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম ও সাংবাদিক একেএম জাহিদুল হক মিন্টু ওই এলাকায় গিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের বক্তব্য ক্যামেরায় ধারণ করছিল।

এসময় স্থানীয় ইউপি মেম্বার রেজাউল হকের ছেলে এলাকার মাস্তান বাহিনীর প্রধান ওয়াহেদুর রহমান রকিসহ অজ্ঞাত আরও ১০/১৫ জন অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে আছাড় দিয়ে ভেঙে ফেলে। শহিদুল ইসলামকে এলোপাথারি মারধোর করে রকির বাড়ির সামনে নিয়ে গিয়ে প্রায় ৩ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। তবে অবস্থা খারাপ হবে দেখে সাংবাদিক একেএম জাহিদুল হক মিন্টু ঘটনাস্থল থেকে আগেই চলে আসে।

সংবাদ পেয়ে সহকর্মীরা থানা পুলিশের সহযোগিতায় সাংবাদিক শহিদুল ইসলামকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। তার শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসার জন্য নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অভিযোগ আছে- হিন্দু ধর্ম থেকে নব মুসলিম হওয়া এক পরিবারকে ওয়াহেদুর রহমান রকি, আরিফ,  মুন্না দেওয়ান, শামীম হোসেন, আল আমিন, রাকিব, রাজনসহ আরও অনেকে মিলে অবরুদ্ধ রেখে তাদের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। এমনকি ওই পরিবারের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করা হয়। পরে ভুক্তভোগীর পরিবার হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেও ভয়ে থানা পুলিশের কাছে যেতে পারেনি।

সাংবাদিক জাহিদুল হক মিন্টু বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখার সংবাদ পেয়ে সত্যতা জানতে সহকর্মী আমি ও  শহিদুল ঘটনাস্থলে যাই। ভুক্তভোগী পরিবারের সাথে কথা বলার সময় ওয়াহেদুর রহমান রকির নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা কয়েকজন এসে ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলে। এক মারধোর করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এরপর মুন্না নামের একজন মোবাইল ফোনে নব মুসলিমের বিরুদ্ধে সংবাদ করার জন্য সাংবাদিক শহিদুলকে মোটা অংকের টাকা দিতে চায়। সেটি সে প্রত্যাখ্যান করলে তারা আবারো মারধর করে রকির বাড়ির সামনে আমাকে নিয়ে এসে আবার মারধোর করে আটক করে রাখে ।

তিনি আরও বলেন, পরে আমাদের অন্যান্য সহকর্মী জানার পর থানা পুলিশের সহযোগিতায় আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। মাথা ও ঘাড়ে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব হচ্ছে সাংবাদিক শহিদুলের। এটার দ্রুত বিচার চাই।

নওগাঁ সদর থানার উপপরিদর্শক (এস.আই) মো. মেজবাহ বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে সাংবাদিক শহিদুল ইসলামকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই বিষয়ে থানায় এখনো লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ







ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনের মৃত্যু
২১ নভেম্বর ২০২৪ রাত ০৮:০৫:৩৩