চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাপিয়া নামের এক নারী কন্যা সন্তান প্রসব করেন। সন্তান প্রসবের পরে অন্য এক রোগীর স্বজনদের কাছে শিশুকে রেখে উধাও হয়ে যান ওই নারী। কী কারণে পালিয়ে যান তার রহস্য এখনো উদ্ঘাটন হয়নি। জন্মের পরই মায়ের দুধ না পেয়ে হাসপাতালেই কান্না করছে শিশুটি। এ যেন এক হ্রদয় বিদারক কাহিনী।
অনেক খোঁজাখুঁজির পর নবজাতকের মাকে না পেয়ে নবজাতকে নিয়ে সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দারস্থ হন ওই রোগীর স্বজন। এরপর বিষয়টি জানাজানি হয়।
২৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে সদর হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই নারীর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে প্রসব ব্যথা নিয়ে স্বজনদের সঙ্গে পাপিয়া (২৫) নামে এক নারী জরুরি বিভাগে আসেন। চিকিৎসক তাকে ভর্তি করে গাইনি ওয়ার্ডে পাঠান। সেখানেই নার্স-চিকিৎসকের সহযোগিতায় একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন এই নারী। এর কিছুক্ষণ পর ওই নারীসহ তার স্বজনরা নবজাতক রেখেই চলে যান।
হাসপাতালের রেজিস্ট্রারের তথ্যনুযায়ী পাপিয়া খাতুন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কেষ্টপুর গ্রামের আলমগীরের স্ত্রী। এ ঘটনার পর ওই নারীর সন্ধানে মাঠে নেমেছে সদর থানা পুলিশ।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ওয়াহেদ মাহমুদ রবিন বলেন, জরুরি বিভাগ থেকে ভর্তি করে ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। গাইনি ওয়ার্ডে নার্স-চিকিৎসকের সহযোগিতায় কন্যাসন্তান প্রসব করেন তিনি। এরপরই নবজাতক রেখে চলে যান ওই নারী। হাসপাতালের সমাজসেবা অফিসের তত্ত্বাবধানে আছে শিশুটি।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিনার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী বলেন, ওই নারীকে আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছি। তাকে পেলেই বিস্তারিত ঘটনা জানা যাবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available