রাজস্থলী প্রতিনিধি: রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার একমাত্র হাসপাতালের নিজস্ব সরকারি জায়গা দীর্ঘদিন ধরে হাজি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালযের প্রধান শিক্ষিক শাহানাজ আক্তার (লাকী) অবৈধভাবে দখল করে আসছে। উচ্ছেদ ও উদ্ধার তৎপরতায় প্রশাসন নির্বিকার।
বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসলে ইতোপূর্বে উপজেলা চেয়ারম্যান উবাচ মারমা ও নির্বাহী অফিসার শেখ ছাদেক থানা অফিসার ইনচার্জ মফজল আহম্মদ খান, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রুহলা অং মারমাসহ সকলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পরির্দশন করে হাসপাতালের রেকর্ড অনুযায়ী পরিমাপ করার পর দখলকারী আরও শক্তভাবে ঘরবাড়ী ও পুকুর দখল করে বহিরাগতের ভাড়া দিয়ে আসছে। অথচ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নাকে সরিষার তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার আলোচনা সমালোচনা হলেও অজ্ঞাত কারণে তা ঝিমিয়ে আছে ।
সূত্র থেকে জানা যায়, উপজেলার পশ্চিম সাইট সেনাবাহিনীর ক্যাম্প সংলগ্ন রাজস্থলী হাসপাতালের নামিয় প্রায় এক একর ৯০ শতাংশ জায়গা স্থিতি আছে। যার আনুমাণিক মূল্য দুই কোটি টাকার উপরে। সে জায়গার উপর কিছু দখলদার সরকারি চাকরীজীবী ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহানাজ আক্তার লাকি অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করে প্রভাব খাঠিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে ইউএসএফ পি ও ডা. রুইহলাঅং মারমা বলেন, হাসপাতালের নামে প্রায় এক একর ৯০ শতাংশ জায়গা বন্দবস্ত আছে। সে জায়গায় কিছু ব্যক্তি অবৈধভাবে সেমি পাকা ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে। তাদেরকে উঠে যাওয়ার জন্য অনেক বার তাগিদ দেওয়ার পরও তারা কোন কর্ণপাত করছে না। আমি প্রশাসনের নিকট জানানোর পর প্রশাসন সরেজমিনে এসে বিস্তারিত দেখে গেছেন।
এর আগে কয়েকবার জেলা প্রশাসক কার্যলয়ের সার্ভেয়ার দিয়ে পরিমাপ করার পর দখলকারীকে নিয়ে রুদ্রতার বৈঠক করেও তার কোন উত্তর সে দিতে পারেনি, বরং আরও শক্তকরে দখল করে আছে।
দখলের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিনকে উপজেলা আইন শৃঙ্খলা সভায় উপস্থাপন করা হলে তিনি জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনের মাধ্যমে তাদেরকে উচ্ছেদ করা হবে। যদি তারা সরে না যায় তাহলে আদালতের মাধ্যমে ১৪৪ ধারা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।
এ ব্যাপারে হেডম্যান উথিনসিন মারমা বলেন, আমি কোন জায়গা কারোর কাছে বিক্রি করিনি। হাসপাতালের জায়গা হাসপাতালের নামে আছে। সুতরাং তারা অবৈধভাবে ঘর উঠিয়ে জায়গা দখল করে আছে। এ ব্যাপারে দখলকারীর সাথে আলাপকালে তিনি স্বীকার করে বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের জায়গাতে ঘর বেঁধে আছি। সরকার চাইলে আমরা দিয়ে দেব। ফলে হাসপাতালের জায়গা থেকে তাদেরকে উচ্ছেদ করা না হলে অদূর ভবিষতে সরকারি সম্পদ রক্ষা করা কঠিন হবে। সরকারি সম্পদ লুটপার করে খাওয়া নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজস্থলী উপজেলায়। আসলে কি দেখার কেউ নেই। তাই দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য এলাকাবাসী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available