কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি: ‘সকাল ৯টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত মাত্র ১৫ জন ক্রেতার কাছে পাঁচ কেজি করে আলু বিক্রি করেছি। বাকি সব ট্রাকেই রয়েছে। রোদ গায়ে লাগছে। তাই মাথায় ব্যাগ ধরে আছি। কখন ক্রেতা আসবেন, ঠিক নেই।’ কথাগুলো বলছিলেন খোলাবাজারে আলু বিক্রেতার প্রতিনিধি নুরনবী।
জয়পুরহাটের কালাই বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গত ২ নভেম্বর থেকে ট্রাকে করে সরকার নির্ধারিত ৩৬ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে চারদিন পার না হতেই ক্রেতাশূন্য আলুর ট্রাক।
জানা গেছে, প্রথম দিকে মানুষের মধ্যে আলুর ব্যাপক চাহিদা ছিল। তবে এখন আর আগ্রহ দেখাচ্ছেন না তারা। ৫ নভেম্বর রোববার সাড়ে ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত কালাই উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে আলুভর্তি ট্রাকের দেখা মিললেও দেখা মেলেনি ক্রেতাদের।
আলু উৎপাদনের এলাকা হিসেবে পরিচিত কালাই উপজেলা। স্থানীয়দের প্রায় সবার বাড়িতে খাবার আলু সংরক্ষিত আছে বলে জানান পৌর শহরের তালুকদারপাড়ার ফেরদাউস হোসেন তালুকদার। তিনি বলেন, দাম কম-বেশি হলেও আলুর মান তেমন ভালো না হওয়ায় এলাকার মানুষের তেমন একটা আগ্রহ নেই।
আলু রোপণের মৌসুম শুরু হয়েছে জানিয়ে আওড়া গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, বীজ আলুর অতিরিক্ত অংশ খাবার হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। এ কারণে চাহিদা কমেছে। যে এলাকায় চাহিদা বেশি, সেখানে বিক্রি করলে ভালো হবে।
আগের দু’দিন সড়কের পাশে দাঁড়ানোর তিন-চার ঘণ্টার মধ্যেই সব আলু বিক্রি হয়ে যায় বলে জানান আলু বিক্রেতা আবুল কাসেম। তাঁর ভাষ্য, তারা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আলু বিক্রি করছেন। আগের দু’দিন সব বিক্রি হলেও এখন উল্টো চিত্র।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাত আরা তিথি বলেন, নেয়ার চাহিদা কমে গেলে তো আলুর দামও কমবে। তবুও বাজার নিয়ন্ত্রণে খোলাবাজারে ৩৬ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি এবং তদারকি অব্যাহত থাকবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available