শ্রীবরদী (শেরপুর) প্রতিনিধি: শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলায় এবার ব্যাপকহারে চাষ হয়েছে উচ্চফলনশীল সরিষা। সরিষা ফুলের হলুদ রঙে সেজেছে বিভিন্ন গ্রাম। এ যেন হলুদের রাজ্য। মাঠে এখন শুধুই হলুদের সমারোহ। সরিষার ফুলে ফুলে উড়ে বেড়াচ্ছে মৌমাছিসহ বিভিন্ন পোকা-মাকড়, যা দেখার মতোই এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য।
এ উপজেলায় এবার বিভিন্ন জাতের সরিষা চাষ করা হয়েছে। সরিষা উৎপাদনে সার কম প্রয়োগ করতে হয়। সেচ, নিড়ানী ও কীটনাশকের খুব একটা প্রয়োজন হয় না। তাই অল্প খরচে বেশি লাভবান হওয়া যায়। এছাড়াও সরিষার আবাদের ফলে জমির উর্বরতাও বৃদ্ধি পায়।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ২শ’ ৮ হেক্টর। উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষা চাষের জন্য কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সরিষার বীজ ও সার বিরতণ করা হয়েছে। বারি সরিষা-১৪, ১৭, বিনা-৪ এবং স্থানীয় জাতের সরিষাও চাষ করা হয়েছে।
কৃষক আক্তার আলী, আশরাফ আলী, রুবেল, শহিদুলের সাথে কথা হলে তারা জানান, সরিষা মৌসুমে ধান চাষের উপযুক্ত জমিতে আমরা সরিষার আবাদ করছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছি। অপরদিকে সরিষা তোলার পর আবার সেই জমিতে বোরো ধান রোপণ করা যায়। এতে করে আমরা অধিক লাভবান হচ্ছি। এছাড়াও স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে আমাদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সাবরিনা আফরিন জানান, আমন ধান কাটার পর সেই জমিতে সরিষা চাষ করে কৃষকরা লাভবান হতে পারেন। মাত্র ৮০/৮২ দিনের মধ্যে ফসল তোলা যায়, সাথে জমির উর্বরতাও বৃদ্ধি পায়। কম খরচে বেশি লাভজনক ফসল সরিষা। উপজেলায় দিনদিন সরিষা চাষের আবাদ বাড়ছে বলেও জানান তিনি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available