পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি: গত একমাস ধরে বৃষ্টির দেখা নেই। মাঠ-ঘাট ফেটে চৌচির। দাবদাহ সেই সাথে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। সারাদেশে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে প্রশাসন। প্রচণ্ড দাবদাহে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি প্রাণিকুলেও রয়েছে চরম হতাশায়। সেচ দিয়েও কুল পাচ্ছে না কৃষকরা।
এই অবস্থায় ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার ৪টি স্থানে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। সকালে উপজেলার দেউতি পুরাতন মাঠ, দামুর চাকলা বাজারের দেওয়ান সালেহ আহম্মেদ দাখিল মাদরাসা মাঠ, সদরের পবিত্রঝাড় ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসা মাঠ এবং সাতদরগাহ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।
প্রতিটি নামাজে দেড় থেকে ২ শতাধিক মুসুল্লি অংশ নেন। দেউতি পুরাতন মাঠে ইমামতি করেন মেকুড়া মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা আফজালুল হক তুফানী, পবিত্রঝাড় মাদরাসা মাঠের ইমামতি করেন উপজেলা জামায়াতের আমির মোস্তাক আহম্মেদ ও দেওয়ান সালেহ আহম্মেদ মাদরাসা মাঠে ইমামতি করেন মাহিগঞ্জ মসজিদের ইমাম আব্দুল রাজ্জাক।
মুসল্লি আতাউর রহমান বলেন, সব আল্লাহর লীলা খেলা, তিনি চাইলে সব হবে। একমাত্র আল্লাহর হুকুম ছাড়া গাছের পাতাও নড়ে না। আমরা আল্লাহর নিকট চাইলাম। তিনিই তার বান্দাদের রহমতের বৃষ্টি প্রদান করবেন।
কৃষক আব্দুস সামাদ বলেন, অনেক দিন ধরে বৃষ্টির দেখা নেই। মাঠ-ঘাট ফেটে গেছে। জমিতে সকালে পানি দিলে বিকেলে থাকছে না। বৃষ্টি না হওয়ার কারণে প্রকৃতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় বিরূপ প্রভাব পড়েছে। কৃষি ক্ষেত্রে বিপর্যয় নেমে এসেছে। এজন্য আল্লাহর রহমতের বৃষ্টি প্রার্থনা করেন তিনি।
এদিকে নামাজ শেষে বৃষ্টির আশায় করা হয় বিশেষ মোনাজাত। কান্নাজড়িত কণ্ঠে আল্লাহর কাছে দাবদাহ থেকে মুক্তি চান মুসল্লিরা। একইসাথে, বৃষ্টির মাধ্যমে সারাদেশে শীতলতা ছড়িয়ে দিতে দোয়া করা হয়।
উল্লেখ্য, রংপুর আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে এক ফোঁটাও বৃষ্টি হয়নি রংপুর অঞ্চলে। শুধু মার্চ মাসে ৯৮ দশমিক ১৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available