নলডাঙ্গা (নাটোর) প্রতিনিধি: নলডাঙ্গার পত্রিকা হকার সেলিম রেজা গুরুতর অসুস্থ, উন্নত চিকিৎসা করাতে প্রয়োজন ৫ লাখ টাকা। কিন্তু সামর্থ্য নেই চিকিৎসার এই অর্থ যোগানোর।
গত ২৩ বছর ধরে দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে রোদ্র বৃষ্টি উপেক্ষা করে নাটোরের নলডাঙ্গায় প্রতিদিন বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সরকারি, বেসরকারি অফিস ও বাসা-বাড়িতে পৌঁছে দেন বিভিন্ন খবরের কাগজ। ক্যান্সারে আক্রান্ত স্ত্রীকে সুস্থ করতে নিজের সর্বস্ব শেষ করেছেন, তবু বাঁচাতে পারেননি। এখন নিজের হার্টে ব্লক ধরা পড়ায় অসহায় হয়ে পড়েছেন তিনি।
পত্রিকা হকার সেলিম রেজা (৪০) নাটোর সদর উপজেলার তেবারিয়া ইউনিয়নের চাঁনপুর আটঘরিয়া এলাকার মৃত মেহের মোল্লার ছেলে। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দেড় মাস আগে তার স্ত্রী মারা গেছেন। স্ত্রীর চিকিৎসায় সকল সম্পদ ব্যয় হয়ে যাওয়ায় এখন দুই সন্তানের খাবার যোগাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে তাকে। এর মধ্যেই গত ৭ মাস আগে সেলিমের হার্টে ব্লক ধরা পড়ে। প্রতি সপ্তাহে দুই হাজার টাকা ঔষধ কিনে খেতে হয়। চিকিৎসকরা তাকে পরিশ্রম না করে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
এই অবস্থায় নিজের ওষুধের টাকা এবং ছেলেমেয়ের মুখে আহার যোগানোর কোনো ব্যবস্থাই নেই। তিন মাস বন্ধ রাখার পর বাধ্য হয়ে আবারও পত্রিকা বিক্রি শুরু করেছেন। নিরোপায় সেলিম পত্রিকা বিক্রির সামন্য আয় দিয়ে যৎসামান্য ঔষধ কিনে বেঁচে থাকার প্রাণান্ত চেষ্টা করছেন। চেষ্টা করছেন সন্তান দুটিকে বাঁচিয়ে রাখতে। কিন্তু দ্রুত নিজের চিকিৎসা করিয়ে হার্টের ব্লক অপসারণ না করালে এভাবে কতদিন চলতে পারবেন তার নিশ্চয়তাও নেই।
নলডাঙ্গা উপজেলার সিনিয়র সাংবাদিক রানা আহাম্মেদ বলেন, আমার সাংবাদিকতার ২৫ বছরে হকার সেলিমকে দেখেছি রোদ বৃষ্টি ঝরের মধ্যেও সরকারি, বেসরকারি অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ মানুষের দোরগড়ায় পৌঁছে দিয়েছেন প্রতিদিনের খবর। কিন্তু আজ নিজেই অসহায় হয়ে পড়েছেন তিনি। তাই দেশ-বিদেশের সকল বিত্তবানদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
নাটোর জেলা পত্রিকা এজেন্ট জালাল উদ্দিন বলেন, দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে নিয়মিত দেশের সকল জাতীয় পত্রিকা বিক্রয় করে আসছে সেলিম। প্রতিদিন সকালে মানুষ ঘুম ওঠার আগেই দেশ-বিদেশের সকল খবর পৌঁছে দেয় সকলের দ্বারে দ্বারে। তার এই অসুস্থতায় এখন সকলের সাহায্য করা প্রয়োজন। সকল পাঠক ও সমাজের বিত্তবানদের প্রতি মানবিক সাহায্য নিয়ে এগিয়ে আসার অনুরোধ করছি।
হকার সেলিম রেজা বলেন, আমার উন্নত চিকিৎসা করাতে ভারতে যেতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন ৫ লাখ টাকা। কিন্তু অভাব-অনটনের সংসার, এত টাকা কে দেবে? কোথায় পাবো সহয়তা?
অসহায় পত্রিকা হকার সেলিম তার দুটি সন্তানের জন্য বাঁচতে চান। বাঁচতে হলে প্রয়োজন অর্থের। তাই তিনি দেশ-বিদেশে থাকা বিত্তবানদের সাহায্য চেয়েছেন। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: সোসাল ইসলামী ব্যাংক, নাটোর শাখা। একাউন নম্বর: ১৫৫১৩৪০০২৪৪১২, জনতা ব্যাংক, বাসুদেবপুর শাখা। একাউন্ট নম্বর: ০১০০২২৫২১৪০১২। বিকাশ নম্বর: ০১৭৩৮৬৮৪২২৬।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available