• ঢাকা
  • |
  • রবিবার ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ভোর ০৪:১৭:০৫ (24-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • রবিবার ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ভোর ০৪:১৭:০৫ (24-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

সারাবাংলা

সীমান্তে গোলাগুলি: মিয়ানমারের ৯৫ সীমান্তরক্ষী পালিয়ে বাংলাদেশে

৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ দুপুর ১২:৪৫:৫২

সীমান্তে গোলাগুলি: মিয়ানমারের ৯৫ সীমান্তরক্ষী পালিয়ে বাংলাদেশে

বান্দরবান প্রতিনিধি: নাইক্ষ্যংছড়ি তুমরু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে বিদ্রোহী দল আরাকান আমির (এএ) ও রোহিঙ্গা সলিডারি অর্গানাইজেশন (আরএসও) সঙ্গে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ব্যাপক সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। এসময় বিজিপির ৯৫ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশের বিজিবির কাছে আশ্রয় নিয়েছে। বিজিবির পক্ষ থেকে বিষযটি নিশ্চিত করা হয়েছে।

৪ ফেব্রুয়ারি রোববার সকালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমরু সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রথম দফায় বাংলাদেশে প্রবেশ করেন ১৪ জন সীমান্তরক্ষী। এরপরে সন্ধ্যায় আরও আটজন এবং এরপরে কয়েক দফায় মিলে মিয়ানমানের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ৬৮ জন সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এই সংখ্যা আরও বেশি হওয়ার কথা জানিয়েছেন সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী বাংলাদেশিরা। বিজিপির আরও সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছেন বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশে প্রবেশ করা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমরু বিজিবি ক্যাম্পে রয়েছেন।

এদিকে, ৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেল থেকে থেমে থেমে গোলাগুলি চলছিল তুমরু সীমান্ততে। রোববার ভোর থেকে লাগাতার গোলাগুলি, মার্টারশেল নিক্ষেপ ও রকেট লান্সার বিস্ফোরণে বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে সীমান্তবর্তী উপজেলা নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম, তুমরু বিস্তীর্ণ এলাকা। শুধু তাই নয়, গুলির সিসা ও রকেট লান্সার উড়ে এসে পড়ছে বাংলাদেশের অভন্তরে। মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে তুমব্রু সীমান্তে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনজন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন।

এদিকে হঠাৎ করে গোলাগুলি বেড়ে যাওয়ায় এলাকায় বসবাসকারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে সীমান্তের এলাকাবাসী। আতঙ্ক, উৎকণ্ঠায় দিন পার করছে তারা। ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাতেও পারছেন না অভিভাবকরা। কৃষক কৃষি ক্ষেতে যেতে এবং অন্যান্য পেশাজীবীরা দৈনন্দিন কাজে যেতে ভয় পাচ্ছেন। অনেকে আবার নিজ এলাকা ছেড়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে অন্যত্র নিরাপদ স্থানে চলে গেছেন।

নাইক্ষংছড়ি তুমরু কোনারপাড়া, ভাজাবনিয়া ও বাইশফাঁড়ি সীমান্তে থেকে  শত শত পরিবার যে যেভাবে পারছে, নিরাপদে আশ্রয়ে ছুটছে। দোকানপাট ও ঘরবাড়ি বন্ধ করে প্রায় দেড় থেকে ২ হাজার মানুষ অন্যত্র চলে গেছে। সীমান্ত জুড়ে বিরাজ করছে আতঙ্ক। বন্ধ রাখা হয়েছে পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মাদ্রাসা।

সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে বলে জানান বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় আমরা সীমান্তের কয়েকটি সড়ক সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছি এবং সীমান্ত পাশে থাকা পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আজ সোমবারও বন্ধ রাখা হয়েছে।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ