নিজস্ব প্রতিবেদক: সুপ্রিম কোর্টের (আপিল ও হাইকোর্ট) উভয় বিভাগের অধিবেশন (বিচারিক কার্যক্রম) পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখার কথা জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে পরামর্শ করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
৭ আগস্ট বুধবার রাতে দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে সরকারি চাকরিতে কোটা বহালের রায়ের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। আবার সীমিত পরিসরে চালু ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর আবার উপ-বিভাগের কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
কোটা আন্দোলন কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের এক দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে চলে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে সুপ্রিম কোর্টের কার্যক্রম পরিচালনায় বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
এবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা করে প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের অধিবেশন পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করে।
যদিও এর আগে গত ৪ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদের স্বাক্ষরিত পৃথক তিনটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়: ‘উপর্যুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগসহ দেশের সব অধস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে প্রধান বিচারপতি জরুরি বিষয়ে প্রয়োজন সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’
এরপর ৫ আগস্ট রাতে সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা এক বার্তায় জানান, মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) থেকে স্বাভাবিক নিয়মে দেশের অধস্তন (নিম্ন) আদালতের বিচারিক ও দাপ্তরিক কার্যক্রম চলমান থাকবে। বুধবার (৭ আগস্ট) থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক ও দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হবে। এরপর ৬ আগস্ট আরেক বার্তায় জানানো হয় যে ৭ ও ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে তবে সীমিত পরিসরে অফিস খোলা থাকবে।
এক পর্যায়ে আবার ৭ আগস্ট দুপুরে জানানো হয় যে ৮ আগস্ট থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম সীমিত আকারে সরাসরি অথবা ভার্চুয়ালি মাধ্যমে (সুবিধাজনক উপায়ে) চলবে। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে আপিল বিভাগের বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার থেকে সরাসরি অথবা ভার্চুয়াল মাধ্যমে (সুবিধাজনক উপায়ে) চেম্বার জজ আদালতের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
তবে আবার ৭ আগস্ট রাতে দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় যে, ‘রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনাক্রমে প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের অধিবেশন (বিচার কার্যক্রম) পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করেছেন।’
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available