স্টাফ রিপোর্টার, ফরিদপুর: ফরিদপুরের দুই মহাসড়কের ৩২ কিলোমিটারের বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে খানা খন্দের সৃষ্টি হওয়ায় যান বাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতে ওই সড়কে চলাচলকারী যানবাহন হরহামেশাই দুর্ঘটনায় শিকার হচ্ছে। আর ধীরগতির কারণে দুই থেকে তিনগুণ সময় লাগছে। নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ওই সড়ক দুটি দিয়ে যাতায়াতকারীদের। আর সড়ক বিভাগ বলছে বেশ কিছুদিন ধরে ঘন বৃষ্টির কারণে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হলেও বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না।
এন-৭, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুর থেকে ধুলদী রেলগেট পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এবং এন-৮, ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের, ফরিদপুর জেলার মুন্সীবাজার খেকে পুখুরিয়া পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার, মোট ৩২ কিলোমিটার মহাসড়ক জুড়ে খানা খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ওই সড়ক দিয়ে চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাতায়াতকারীদের।
এন-৭ মহাসড়ক দিয়ে মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, যশোরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্তত ১০টি জেলার হাজারো যানবাহন এন-৮ মহাসড়ক ধরে ভাঙ্গা গোলচত্বর হয়ে এক্সপ্রেসওয়ে ও পদ্মা সেতু ব্যবহার করে রাজধানীতে যাতায়াত করে।
সরেজমিনে গেলে স্থানীয় এবং মহাসড়কে চলাচলকারীরা জানান, দুই মাসের অধিক সময় ধরেই প্রতিনিয়ত ভাঙ্গছে সড়কটি। কিন্তু প্রয়োজনীয় সংস্কার না হওয়ায় দিনে দিনে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। এরই মধ্যে ধীর গতিতে যানবাহন চলায়, সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে না, এতে ক্ষতির মুখে পড়ছেন ব্যবসায়ীসহ ওই সড়ক ব্যবহারকারীরা। আর যানবাহন চালকরা বলছেন, সড়কের দুরাবস্থার কারণে প্রায়শ ঘটছে দুর্ঘটনা।
মহাসড়ক দুটি ব্যবহারকারীরা মনে করেন, অবিলম্বে সংস্কার না করা হলে এই সড়ক দুটির ওই অংশে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়বে। তাই দ্রুত মহাসড়ক দুটির ক্ষতিগ্রস্ত অংশ সংস্কারের দাবি তাদের।
ফরিদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খালিদ সাইফুল্লাহ সরদার জানান, ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কটি কুয়াকাটা পর্যন্ত ফোর লেনে উন্নীত করার কাজ চলমান থাকায় এই মুহূর্তে বড় ধরনের কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু সাময়িকভাবে সংস্কার করার কাজ চলমান রয়েছে, যদিও অনবরত বৃষ্টি থাকায় বিলম্বিত হচ্ছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available