বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটের কচুয়ায় স্ত্রী হত্যার দায়ে বাসুদেব ওরফে বাপ্পি কর্মকার নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত বাপ্পি কর্মকার কচুয়া উপজেলার গজালিয়া গ্রামের বাবুল কর্মকারের ছেলে।
২৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকালে বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক এস এম সাইফুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে এই রায় দেন। একই সাথে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। একই মামলার অপর চার আসামিকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
বাদীপক্ষের আইনজীবী সরকারি কৌশলী সিদ্দিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পিরোজপুর উপজেলার মঠবাড়িয়া থানার চরকাছারিয়ার সুবোধ কুমারের মেয়ে সেতু রানিকে আসামি বাসুদেব কর্মকার অপহরণ করে বিবাহ করেন। পরবর্তীতে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করেন তারা। এরপর এলাকায় এসে বসবাস করতে থাকেন এবং স্বর্ণের ব্যবসা শুরু করেন বাপ্পি। একপর্যায়ে তার স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকেন এবং স্ত্রীর পিতার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে টাকা গ্রহণ করেন।
২০০৬ সালের ৬ আগস্ট ৮ লক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন করেন বাপ্পি। নির্যাতনে স্ত্রী সেতু রানি অসুস্থ হয়ে পড়লে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সেতু রানিকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ সৎকারের পর নিহতের পিতা বাদী হয়ে মামলা করেন। পরবর্তীতে মামলাটির তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৪ মার্চ ৭ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করে পিবিআই।
আদালত ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি বাসুদেব ওরফে বাপ্পি কর্মকারকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। অন্য আসামিদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available