আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজা যুদ্ধে ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও অন্য কয়েকটি সংগঠনের যোদ্ধাদের হামলায় এ পর্যন্ত ইসরাইলের ৫২০ জন সেনা ও ৬০ জন পুলিশ নিহত হয়েছে। ইসরাইল সরকার এসব নিহত সেনা ও পুলিশের নাম পরিচয় প্রকাশ করেছে।
প্রকাশিত তালিকায় দেখা যায়, গাজায় অভিযানের প্রথম দিন থেকে এ পর্যন্ত মারা গেছে ইসরাইলের ৫ কর্নেলসহ ১৩৫ সেনা কর্মকর্তা। ৭ অক্টোবর গাজার প্রতিরোধকামী যোদ্ধাদের অভিযানে ইসরাইলের নাহাল ব্রিগেডের কমান্ডার কর্নেল জনাথন স্টেইনবার্গ নিহত হয়েছেন। ওইদিন সকালে আরও নিহত হয়েছেন ইসরাইলের ‘ঘোস্ট ইউনিটের’ কমান্ডার কর্নেল রয় লেভি, গাজা ডিভিশনের সাউদার্ন ব্রিগেডের কমান্ডার কর্নেল আসাফ হামামি। এর মধ্যে আসাফ হামামির মরদেহ হামাস যোদ্ধারা গাজায় নিয়ে গেছেন।
এ ছাড়া গাজার শুজাইয়া এলাকায় হামাসের সাথে প্রচণ্ড যুদ্ধের সময় গোলানি ব্রিগেডের অন্যতম কমান্ডার কর্নেল ইজ্জাক বেন বাসাত এবং অন্য নয় সেনা নিহত হয়। এর পাশাপাশি ইসরাইলের রিজার্ভ সেনা কর্মকর্তা কর্নেল লায়ন বার চলমান যুদ্ধে নিহত হয়েছেন। গাজা যুদ্ধ শুরু পর থেকে এই পর্যন্ত ইসরাইলের নয় জন লেফটেন্যান্ট কর্নেল, ৩৬ জন মেজর, ৪৭ জন ক্যাপ্টেন এবং ৩৯ জন লেফটেন্যান্ট পদমর্যাদার সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনের হামাস-সহ অন্য প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর হামলায় ইসরাইলের এই ব্যাপক সংখ্যক সেনাসহ এ পর্যন্ত ১২শর বেশি মানুষ মারা গেছে। এতে ইসরাইলের ভেতরে ব্যাপকভাবে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে এবং নেতানিয়াহু সরকার প্রচণ্ড চাপের মুখে রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বারবার ইসরাইলি জনগণকে হামাস নির্মূল করার মধ্য দিয়ে বন্দিদের জীবিত ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকার ব্যক্ত করলেও যুদ্ধের তিন মাসে একজন বন্দিকেও মুক্ত করতে সক্ষম হয়নি ইসরাইলি সেনারা। এ নিয়ে ইসরাইলের ভেতরে নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবি জোরালো হয়ে উঠেছে। বিরোধীদলীয় নেতা ইয়াইর লাপিদ সরাসরি বলেছেন, এই সরকার ভেঙে দিয়ে নতুন সরকার গঠন করতে হবে, যেখানে নেতানিয়াহু প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না। সূত্র: পার্সটুডে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available