জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) নিপীড়কদের সহায়তা করার অভিযোগ এনে প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ সাব্বির আলমের অপরাধ তদন্ত করে প্রশাসনিক পদ থেকে অব্যাহতিসহ পাঁচদফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেছে ‘নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ’। আজ ১২ মার্চ মঙ্গলবার তার দ্বিতীয় দিন।
১০ মার্চ রোববার এ অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা করেন মঞ্চের সংগঠক ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক পারভীন জলী। এরই ধারাবাহিকতায় চলছে তাদের অবরোধ কর্মসূচি।
তাদের অন্য দাবিগুলো হলো, মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে গণরুম বিলুপ্ত করে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত করা, নিপীড়ক শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বহিষ্কারাদেশের প্রজ্ঞাপন জারি, অফিস আদেশ প্রণয়ন করতে হবে, ইতোপূর্বে যৌন নিপীড়ন সেলে উত্থাপিত সকল অমিমাংসিত অভিযোগসহ ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময়ে নানাবিধ অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনা ও মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে জড়িতদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাদের বিরদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
অবরোধে যুক্ত থাকা দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ও ‘নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চে’-এর আহ্বায়ক অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, ধর্ষণকাণ্ডে কয়েকজনকে শাস্তির আওতায় আনা হলেও এর পেছনে দীর্ঘদিন ধরে যে জমি চাষ হয়ে আসছে সেটির বিষয়ে কোনো মাথা ব্যাথা নেই প্রশাসনের। গত ৩ ফেব্রুয়ারির ধর্ষণের ঘটনায় মাদক, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী সবই জড়িত। কিন্তু এসবের পেছনে বিশাল সিন্ডিকেট কাজ করে বিধায় প্রশাসন চুপ।
ওই দিনের ঘটনায় ধর্ষক এবং তার সহযোগীরা হল থেকে পালিয়ে যায়। এই দায় এম এইচ হলের প্রভোস্টকেই নিতে হবে। আমরা এও যেনেছি যে, সেই দিনের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নিজে ধর্ষক এবং তার সহযোগীদের পালিয়ে যেতে সরাসরি ভূমিকা রেখেছে। আমরা তার এমন বক্তব্যও শুনেছি যে, মুস্তাফিজ এমন ঘটনা ঘটায়নি। এছাড়া মেয়াদ উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করার জন্য বারবার আন্দোলন ও দাবি জানানো হলেও প্রশাসন তাদের তালিকাও করতে পারেনি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available