ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: সৌদি আরবসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার সাথে মিল রেখে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার চারটি স্থানে ঈদুল আযহা উদযাপন করেছেন দুই শতাধিক মানুষ।
১৬ জুন রোববার সকাল ৮ টায় উপজেলা মোড়ের গোলাম হযরতের মিলচাতাল চত্বরে প্রথম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মো. রেজাউল ইসলাম। এই ঈদ জামাতে উপজেলার কয়েকটি গ্রাম থেকে অর্ধশতাধিক মুসল্লি অংশ নেন।
এছাড়াও এদিন উপজেলার ভালকি ও নিত্যনন্দপুর গ্রামেও ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এসব জামাতে দুই শতাধিক মুসল্লি অংশ নেন বলে জানা যায়। হরিণাকুণ্ডু, ফলসী, কুলবাড়িয়া, ভালকী, নিত্যনন্দপুর গ্রামসহ জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে এসব মুসল্লিরা ঈদ জামাতে অংশ নেন।
নামাজ আদায়কারী মুসল্লিদের নেতা আ ন ম বজলুর রহমান বলেন, আমরা জানি চাঁদ উঠার ওপর নির্ভর করেই রোজা রাখা এবং ঈদ উদযাপন করা হয়। পৃথিবীর আকাশে চাঁদ দেখা গেছে, শুধু বাংলাদেশ ছাড়া সৌদি আরবসহ সকল মুসলিম দেশগুলি আজ ঈদ উদযাপন করছে। এ কারণেও আমরাও তাদের সাথে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করছি। আমরা দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করছি।
ঈদ জামাতের ইমাম রেজাউল ইসলাম বলেন, আমরা প্রতি বছর পৃথিবীর আকাশে প্রথম চাঁদ দেখে নামাজ আদায় করি। যা সৌদি আরবের সঙ্গে মিলে যায়।
তিনি আরও বলেন, যদি কোনো বিশ্বস্ত মুসলমান ভাই পৃথিবীর আকাশে নতুন চাঁদ দেখতে পায়, তাহলে রোজা রাখতে হবে এবং নিয়মে ঈদের নামাজ আদায় করতে হবে। যেহেতু পৃথিবীর আকাশে ঈদের চাঁদ দেখা গেছে। এজন্য আজ ঈদ উদযাপন করা হয়েছে।
হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি মো. জিয়াউর রহমান বলেন, উপজেলার তিনটি জায়গায় সৌদি আরবের সঙোগ মিল রেখে কিছু মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করেন। আইনশৃঙ্খল ও নিরাপত্তার স্বার্থে যেসব জায়গায় ঈদের নামাজ হয়েছে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করেছি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available