রাবিপ্রবি প্রতিনিধি: বর্ণিল আয়োজনে পাহাড়ে শুরু হয়েছে বর্ষবরণ ও বর্ষ বিদায়ের মহাউৎসব বৈসাবি। চাকমা জনগোষ্ঠী উৎসবের প্রথম দিন ‘ফুলবিজু’ ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী এ দিন পানিতে ফুল ভাসিয়ে "হারি বৈসুক" পালন করে থাকেন। ত্রিপুরাদের বৈসুকের ‘বৈ’ মারমাদের সংগ্রাই এর ‘সা’ আর চাকমাদের বিজুর ‘বি’ এই উৎসবকে সংক্ষেপে "বৈসাবি" হিসেবে বোঝানো হয়।
পার্বত্যাঞ্চলের বিভিন্ন জাতি সত্তার ঐতিহ্যবাহী প্রধান সামাজিক উৎসবকে ঘিরে উৎসব মুখর হয়ে উঠেছে পাহাড়ি জনপদ। তিন পার্বত্য জেলার বিভিন্ন জাতি সত্তার অন্যতম রাঙ্গামাটি জেলা এখন উৎসবের নগর। উৎসব থেকে দূরে নেই রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীবৃন্দ। বৈসাবি ও বাংলা নববর্ষকে ঘিরে চলছে তাঁদের আলাদা প্রস্তুতি। যা বাংলাদেশের অন্য সব বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে ব্যতিক্রম।
ঈদের ছুটি চলমান থাকার কারণে আগামী ২৩ ও ২৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুই দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী রশি, সুকই, পানি খেলা, আলোচনা সভা, ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ও কনসার্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে বৈসাবি ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাঞ্চন চাকমা।
উল্লেখ্য ঈদ, চৈত্র সংক্রান্তি ও পার্বত্যাঞ্চলের বিভিন্ন জাতিসত্তার সামাজিক উৎসব উপলক্ষ্যে গত ৭ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছিলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশন।
বৈসাবি উৎসবে বিভিন্ন জাতিসত্তার শিক্ষার্থীদের মেলবন্ধনে সম্প্রীতি খুঁজে পায় রাবিপ্রবিয়ানরা। এই উৎসবকে ঘিরে শুধু আচার অনুষ্ঠান বা প্রথা নয় বরং পারস্পরিক সহযোগিতা, ভালবাসা ও সৌহার্দ্যের অনন্য এক উদাহরণ হয়ে ওঠে পাহাড়-লেকের ৬৪ একরের এই বিশ্ববিদ্যালয়।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available