• ঢাকা
  • |
  • শনিবার ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ১০:২৪:০৩ (23-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শনিবার ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ১০:২৪:০৩ (23-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

বাড়িতে বাবার মৃতদেহ রেখে পরীক্ষায় অংশ নিতে হলো মেয়েকে

১৮ আগস্ট ২০২৩ সকাল ১১:১৩:৫৫

বাড়িতে বাবার মৃতদেহ রেখে পরীক্ষায় অংশ নিতে হলো মেয়েকে

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাট হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের দোলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা শাহেদ আলী (৫০)। তিনি ১৬ আগস্ট বুধবার রাতে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে তার জানাজার সময় নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু তার একমাত্র মেয়ে শাহনাজ পারভীনের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে। ফলে বাবার মৃতদেহ রেখে ভারাক্রান্ত মন নিয়েই পরীক্ষা দিতে যেতে হয় মেয়ে শাহনাজ পারভীনকে।

১৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার  সকাল ১০টায় লালমনিরহাট হাতীবান্ধা মহিলা ডিগ্রি কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় শাহানাজ পারভীন। সে উপজেলার সরকারি আলিমুদ্দিন কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। 

বাবার মৃত্যুতে বাড়িতে যখন স্বজনরাদের শোকের মাতম চলছে, বাবার মৃতদেহ বাড়ির উঠানে রেখে ২০ কিলোমিটার দূরে উপজেলা সদরে এসে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় শাহানাজ পারভীন।

মৃত শাহেদ আলীর দুই ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়ে শাহানাজ বাবার ইচ্ছা পূরণে সে পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। বাবাকে হারিয়ে কাঁদতে কাঁদতে সে পরীক্ষা দেয়। পরীক্ষা শেষে শাহানাজ বাড়ি ফিরলেই বাবার দাফন কাজ শেষ হয়।

শাহানাজের বাবা শাহেদ আলী একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী মানুষ হলেও কাঠের ব্যবসা করে মেয়েকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। পারিবারিকভাবে অস্বচ্ছল থাকা সত্ত্বেও মেয়ের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে বাবার প্রবল ইচ্ছার কারণে শাহানাজ এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। মেধাবী শাহনাজ পারভীন বড় খাতা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি আলিমুদ্দিন ডিগ্রী কলেজে এইচএসসিতে ভর্তি হয়েছিল।

পরীক্ষায় অংশ নেয়ার আগে শাহানাজ পারভীন কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, বাবার ইচ্ছা পূরণ করতেই বাবার মরদেহ বাড়িতে রেখে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি, হয়তো ভালো রেজাল্ট আসবে না।

হাতীবান্ধা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব মোতাহার হোসেন লাভলু বলেন, বাবাকে হারানো যে কোনো সন্তানের জন্য খুবই কষ্টদায়ক। এরপরও শাহানাজ বাবা হারানোর কষ্ট নিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে। আমরা তার পরীক্ষার সময় যতটুকু সম্ভব মানসিকভাবে সহযোগিতা করছি।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজির হোসেন বলেন, শাহানাজ পরীক্ষা যাতে অংশগ্রহণ করে এজন্য সান্ত্বনা দিয়েছি এবং পরীক্ষা দিতে উৎসাহ প্রদান করেছি।
 

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ