নিজস্ব প্রতিবেদক: কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের শুরুটা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। ১৫ জুলই সোমবার শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা ও সংঘর্ষের পর ১৬ জুলই মঙ্গলবার বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছেড়ে রাস্তায় নেমে এসে সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলাবার দেশের বিভিন্ন এলাকায় হামলার শিকার হন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। সরকার সমর্থক বিভিন্ন সংগঠন ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে কোথাও কোথাও। এসব ঘটনায় চট্টগ্রামে তিনজন, রাজধানী ঢাকায় দুজন এবং রংপুরে একজনসহ মোট ছয়জন নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা কয়েকশ’।
রংপুরে পুলিশের গুলিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। নিহত আবু সাঈদ (২২) রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা আন্দোলনের সমন্বয়ক ছিলেন।
ঢাকায় নিহত দুজনের মধ্যে একজন ঢাকা কলেজের স্নাতকোত্তর শ্রেণীর শিক্ষার্থী সবুজ আলী। তিনি কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি উত্তর ছাত্রাবাসের ২০৫ নম্বর কক্ষে থাকতেন। তিনি ছাত্রলীগের কর্মী বলে জানা গেছে।
ঢাকা নিহত আরেকজন হলেন মো. শাহজাহান (২৫), তিনি নিউমার্কেট এলাকার হকার বলে জানা গেছে। তাঁর মা আয়েশা বেগম এবং মামা মোসলেম উদ্দিন মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢামেক মর্গে তাঁর মরদেহ শনাক্ত করেন।
মামা মোসলেম উদ্দিন বলেন, শাহজাহান নিউ মার্কেট এলাকায় ও বলাকা সিনেমা হলের সামনে পাপোশ বিক্রি করতেন। কামরাঙ্গীর চর চান মসজিদ এলাকায় তাঁর বাসা। স্ত্রী ফাতেমা আক্তারকে নিয়ে শাহজাহান সেখানেই থাকতেন।
চট্টগ্রামে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থী, অন্যজন পথচারী এবং আরেকজনের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। নিহত শিক্ষার্থীর নাম ওয়াসিম আকরাম (২৩), তিনি চট্টগ্রাম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। তিনি কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। নিহত পথচারীর নাম মো. ফারুক (৩৩), তিনি ওয়ার্কশপ কর্মচারী ছিলেন। নিহত অপর একজনের পরিচয় জানা যায়নি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available