নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁয় ডেনিস কোম্পানির ২ ফান ওয়েফান বিস্কুট খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে খাদিজা (৬) ও তাবাসসুম (৮ মাস) নামে সহোদর ২ শিশু কন্যার মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় মইন ইসলাম (১৬) নামে আরও এক কিশোর অসুস্থ হয়েছে। তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
৯ জুলাই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাদের মৃত্যু হয়। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটে সদর উপজেলার দোগাছী স্কুলপাড়া গ্রামে। মৃত খাদিজা ও তাবাসসুম ওই গ্রামের জহুরুলের মেয়ে। আর অসুস্থ মইন একই গ্রামের পাইলটের ছেলে।
এ ঘটনায় ১০ জুলাই বুধবার সকালে বিস্কুট বিক্রেতা কামরুজ্জামানকে (৩২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শিশু দুটির মৃত্যুর ঘটনায় মামলার পর বিক্রেতাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদুল হক।
শিশুর চাচা শাহজাহানসহ স্থানীয়রা জানান, ঘটনার দিন দুপুর দেড়টার দিকে খাদিজা, তাবাসসুম ও মইন বাড়ির পাশের একটি দোকান থেকে বিস্কুট কিনে খায়। এর কিছুক্ষণ পরই তারা লাগাতার বমি করতে থাকে। অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক ৮ মাস বয়সী তাবাসসুমকে মৃত ঘোষণা করেন। আর উন্নত চিকিৎসার জন্য খাদিজাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেয়ার পথে তারও মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পরিবারসহ এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ডেনিস কোম্পানির ২ ফান ওয়েফান বিস্কুট খেয়ে অসুস্থ হয় দুই শিশু ও এক কিশোর। এতে বিষ্ক্রিয়ায় দুই বোনের মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকে। তবে ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সদর মডেল থানার ওসি জাহিদুল হক বলেন, বিস্কুট খাওযার পর অসুস্থ হয়ে শিশু দুটির মৃত্যুর ঘটনায় বুধবার সকালে মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন ওই দুই শিুশুর বাবা। আর মামলা দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে বিস্কুট বিক্রেতা দোকানী কামরুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া অপর কিশোর মইন ইসলাম এখনও চিকিৎসাধীন আছে বলে নিশ্চিত করেন থানার এই কর্মকর্তা। আর আইনগত প্রক্রিয়া শেষে শিশু দুটির মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available