মতলব (চাঁদপুর) প্রতিনিধি: দখল-দূষণে মরতে বসেছে চাঁদপুর মতলব উত্তরের মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের খালগুলো। প্রভাবশালীরা সেগুলো দখল করে অবৈধ স্থাপনা ও দোকানঘর নির্মাণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে সেচ প্রকল্পের ফসল উৎপাদন ও পরিবেশ হুমকিতে পড়েছে।
জানা যায়, মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের মূল বেড়িবাঁধটি নির্মিত হয় ১৯৮৭ সালে। এ বাঁধের দৈর্ঘ্য প্রায় ৬০ কিলোমিটার। এ প্রকল্পের অধীনে ২১৮ কিলোমিটার সেচ খাল রয়েছে। কয়েক বছর ধরে সেচ প্রকল্পের এনায়েতনগর, মমরুজকান্দি, সুজাতপুর, এখলাছপুর, বকুলতলা, বাংলাবাজার, দুর্গাপুর, বাগানবাড়ি, জীবগাঁও, মোহনপুর, বেলতলী, চান্দ্রাকান্দি, কালিপুর, ষাটনল, ছেংগারচর, বদরপুর, রামদাসপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সেচ প্রকল্পের খালগুলো অবৈধভাবে দখল করে দোকান ও স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। তাছাড়া খালগুলোতে ময়লা-আবর্জনা ফেলায় গন্ধ ও দূষণে এলাকায় টিকে থাকা দায় হয়ে পড়েছে।
মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের খাল দখল করে দোকান নির্মাণকারী খাজা আহমেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, পাউবোর কিছু খালি জায়গা পেয়ে দোকান দিয়েছেন। পাউবোর অনুমতি নিতে হয় কি-না, তা তিনি জানেন না।
অন্যদিকে ছেংগারচর বাজার, দাসের বাজার, দশানী ও এনায়েতনগর এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, সরকারি জমি পড়ে আছে। তাই খালের পাড়ে দোকানঘর নির্মাণ করে তারা ব্যবসা করছেন।
মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী জয়ন্ত পাল বলেন, পাউবোর জায়গা দখলমুক্ত করতে খুব শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে। ইতোমধ্যে দখলদারদের তালিকা জেলা প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছে। দখলকৃত জায়গা ছেড়ে দিতে দখলদারদের একাধিকবার নোটিশও দেওয়া হয়েছে।
মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একি মিত্র চাকমা জানান, কিছু প্রভাবশালী খালের পাড় দখল করে স্থাপনা তৈরি করছে বলে শুনেছি। পাউবো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সেচ খালের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের জন্য উপজেলা ও জেলা সমন্বয় কমিটির মিটিংয়ে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available