শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মো. সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কর্তনের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় আরিফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি ওই অভিযোগটি করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, লছমনপুর ইউনিয়নে কর্মরত পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মো. সিরাজুল ইসলাম একজন অর্থলোভী ব্যক্তি। সে চাকরিতে যোগদানের পর থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলের ছত্র ছায়ায় লিয়াজু করে আসছেন। বিগত ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ভিতরে বেড়ে উঠা অনেক পুরাতন বড় বড় ৩টি আকাশমনি ও ২টি মেহগনি গাছ কর্তন করে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় দেড় লক্ষ টাকা। গাছ কর্তনের বিষয়টি স্থানীয়রা জানতে চাইলে সে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশেই গাছ কর্তন করেছেন বলে জানান। উল্টো এ বিষয়ে বারাবাড়ি না করার জন্য হুমকি প্রদান করেন। সরকারি গাছ কর্তন করতে হলে উপযুক্ত কমিটির অনুমোদন ও দরপত্রের প্রয়োজন হয়। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো প্রকার অনুমোদন কিংবা দরপত্র করা হয়নি। তাই তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক, জেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবর অনুলিপি দিয়েছেন।
অভিযুক্ত ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মো. সিরাজুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি গাছ কর্তনের বিষয়ে কিছু বলবে না বলে ফোন রেখে দেন।
লিখিত অভিযোগকারী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, আমার বাড়ি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পাশেই। সরকারি গাছ কর্তন করায় আমি সরাসরি প্রতিবাদ জানিয়েছি। এফপিআই সিরাজুল ইসলাম গাছ কর্তন করে ঘরের আসবাবপত্র বানিয়েছেন। সে কোনো কিছুই তোয়াক্কা করেন না। টেন্ডারের মাধ্যমে গাছ কাটা হলে আমার কোনো আপত্তি থাকতো না। আমি এর বিচার দাবি করছি।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আ. হাই বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সরেজমিনে গিয়েছিলাম গাছ কাটার বিষয়টি সঠিক। তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হোক আমরা সেটাই প্রত্যাশা করি।
উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারি গাছ কর্তনের অভিযোগ পেয়েছি। আমার ব্যস্ততার কারণে ঘটনাস্থলে এখনো যেতে পারিনি। তবে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দিয়েছিলাম তিনি সত্যতা পেয়েছেন বলে আমাকে জানিয়েছেন। আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও এ বিষয়টি দেখার জন্য বলেছি। গাছ কর্তন যেই করুক না কেনো তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হোক। সেইসাথে তিনি প্রকৃত অপরাধীর শাস্তি কামনা করি।
জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক মো. রায়হানুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, গাছ কর্তনের অভিযোগ পাওয়ার পর পরই আমি সেখানে পরিদর্শনে গিয়েছি। সেখানে ৩/৪টি গাছ কাটা পরেছে। কে বা কারা গাছটি কেটেছে সেই তথ্য উদঘাটনের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে রিপোর্ট পাওয়ার পর আমরা প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিবো।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available