নিজস্ব প্রতিবেদক: গার্মেন্টসে কাজ করার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন রাজধানীর দক্ষিণখান থানা এলাকার ফ্যাশন গার্মেন্টসের কর্মী মো. সজিব (১৭)।
পরিবারের দাবি, দক্ষিণখান থানার বটতলা এলাকায় কথা কাটাকাটির জের ধরে মাহিন (১৮) নামের এক সহকর্মীর কিল-ঘুসিতে সজিব মারা গেছেন।
২৭ জানুয়ারি শনিবার গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে সকাল ১১টায় চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সজিবের সহকর্মী মো. সোহাগ জানান, সকালে সজীব গার্মেন্টসে যাওয়ার পর মাহিম নামে তাদের এক সহকর্মী সজীবকে ডেকে কারখানার গেটের পাশে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে তাকে মারধর করতে থাকে। এক পর্যায়ে সজীব অচেতন হয়ে পড়লে মাহিম দৌড়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
নিহত সজিবের ভাই সলেমান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আমার ভাই দক্ষিণখান এলাকায় ফ্যাশন গার্মেন্টসে কাজ করে। সকালে আমার ভাই বাসা থেকে গার্মেন্টসে কাজ করার উদ্দেশ্যে বের হয়। পরে খবর পাই আমার ভাই উত্তরায় কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে আছে। সেখানে গিয়ে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক জানান আমার ভাই আর বেঁচে নেই।
তিনি আরও বলেন, জানতে পারি একই গার্মেন্টসের কর্মী মাহিনের সঙ্গে আমার ভাইয়ের কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে কিল-ঘুসি ও বুকে লাথি মারলে আমার ভাই অজ্ঞান হয়ে পড়ে। আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে আমরা খবর পেয়ে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সজীবের মা সোলেমা বেগম জানান, সকালে গার্মেন্টস থেকে ফোন দিয়ে তাকে জানানো হয়, কারা যেন তার ছেলে সজীবকে মারধর করেছে। পরে তিনি কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে গিয়ে ছেলেকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। আমার ছেলে কারও সাথে মারামারি করার কথা না। আমরা অনেক কষ্টে জীবন যাপন করি। তাই ছেলেকে চাকরিতে দিয়ে আজ লাশ নিয়ে ফিরতে হচ্ছে। কেন মেরে ফেললো আমার ছেলেকে? আমার সন্তান হত্যাকারীর বিচার চাই।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, মরদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি দক্ষিণখান থানাকে জানিয়েছি।
এ বিষয়ে দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, অভিযুক্ত আসামিকে ধরতে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available