• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ সকাল ০৬:৩১:০৪ (22-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ সকাল ০৬:৩১:০৪ (22-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

মেহেরপুরে হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ খেলায় মুগ্ধ দর্শক, দেখতে চায় প্রতি বছর

১০ মার্চ ২০২৪ বিকাল ০৪:৫৫:২৪

মেহেরপুরে হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ খেলায় মুগ্ধ দর্শক, দেখতে চায় প্রতি বছর

মেহেরপুর প্রতিনিধি: মানুষের মনে তৃপ্তি মিটানোর অন্যতম মাধ্যম হলো খেলা। বিষন্ন মনকে আনন্দে ভরিয়ে দিতে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া সব বয়সী মানুষেরাই হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলাগুলো ভালোবাসে।

গ্রামে প্রায় দেখা যায়, ফুটবল, ক্রিকেট, দাবা, কেরাম বোর্ডসহ বিভিন্ন ধরনের খেলা। তবে যদি হারিয়ে যাওয়া গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবহনকারী খেলা হয়, তাহলে সব বয়সী মানুষদের মনে এক অন্যরকম আনন্দ কাজ করে। তেমনি ৪০ ঊর্ধ্ব বয়স্ক ও যুবসমাজকে নিয়ে একটি ভিন্ন ধর্মী খেলার আয়োজন করেছে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর ইউনিয়নের হারাভাঙ্গা গ্রামের যুবসমাজ। গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া খেলা দেখতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায় দর্শক।

৯ মার্চ শনিবার দিনব্যাপী উপজেলার হারাভাঙ্গা গ্রামে এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

স্থানীয়রা জানান, সভ্যতার ক্রমবিকাশ আর আধুনিকতার ছোঁয়ায় বাংলাদেশের গ্রামগুলো থেকে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে ঐহিত্যবাহী গ্রামীণ খেলাধুলা। গ্রামীণ খেলাধুলা গুলোই আনন্দের জীবন্ত উৎস এবং বিনোদনের খোরাক। আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই এখন বিলুপ্তির পথে। তারপরও গ্রামীণ জনপদে এখনও কিছু খেলাধুলা চোখে পড়লেও উৎসাহ-উদ্দীপনা ও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে তাও প্রায় বন্ধ হতে চলেছে।

তারা আরও জানান, আজ উপজেলার হাড়াভাঙ্গা গ্রামের যুব সমাজ বয়স্ক ও যুব সমাজদের নিয়ে ফুটবল, হাড়িভাঙ্গা, লাঠি খেলা, কলা গাছে ওঠা, হাডুডুসহ বিভিন্ন ধরনের খেলার আয়োজন করেছে, এজন্য তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।

খেলার আয়োজক কমিটির সদস্য হাড়াভাঙ্গা গ্রামের মো. আবুল বাশার বলেন, একসময় গ্রামীণ সমাজের শিশুরা পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন খেলাধুলার মাধ্যমে অবসর সময় কাটাত। বিকেল হলেই খেলার মাঠগুলোতে দল বেঁধে খেলতে যেত। এখন সে খেলাগুলো নেই বললেই চলে। ঘরে বসে কম্পিউটার, মোবাইলে গেমস খেলতেই তারা বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। তবে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি এই গ্রামীণ খেলাগুলো ফিরিয়ে আনার। আমরা প্রতিবছরই এ খেলাধুলার আয়োজন করবো ইনশাআল্লাহ। এজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. সেলিম রেজা নবির বলেন, একসময় গ্রামীণ খেলাধুলা আমাদের সংস্কৃতির ঐতিহ্য বহন করতো। বর্তমানে গ্রামীণ খেলা বিলুপ্তি হতে হতে আজ তার অস্থিত্ব খুঁজে পাওয়াই কঠিন। দেশের বিভিন্ন এলাকার গ্রামাঞ্চলে একসময় গ্রামীণ খেলাধুলার প্রচলন ছিল। তার মধ্যে ছেলেরা খেলত হাডুডু, ডাংগুলি, কাবাডি, লাটিম ঘোরানো, ঘুড়ি উড়ানো, নৌকাবাইচ, লাঠিখেলা, ষাঁড়ের লড়াই, মোরগ লড়াই, হাড়ি ভাঙ্গাসহ এমনি আরও অনেক খেলা।

তিনি আরও বলেন, গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া খেলা গুলোর আয়োজন করতে দেখে খুবই ভালো লাগছে। আর হাড়াভাঙ্গা গ্রামের যুব সমাজকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই ঐতিহ্যবাহী খেলা গুলোর আয়োজন করার জন্য।

স্থানীয় বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোহাম্মদ জৌলুস হোসেন বলেন, হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলাগুলো আমাদের আবার ফিরিয়ে আনা উচিত। যুব সমাজকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর আয়োজন করার জন্য। আশা করি, যুব সমাজ প্রতি বছরই এই খেলা গুলোর আয়োজন করবে। আমরা গ্রামবাসী তাদের সার্বিক সহযোগিতা করবো।

তিনি আরো বলেন, আজ সবচেয়ে বেশি আনন্দ লেগেছে ৪০ ঊর্ধ্ব বয়স্কদের খেলা দেখে। তারা অসাধারণ খেলা উপহার দিয়েছে দর্শকদের।

কাজীপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য (৬নং ওয়ার্ড) মো. মহিবুল ইসলাম বলেন, হারিয়ে যাওয়া খেলাধুলা যে যুবসমাজ আয়োজন করেছে, এর জন্য যুব সমাজকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি সবসময় যুব সমাজের সাথে আছি। মাদক থেকে যুব সমাজকে ফিরিয়ে আনার অন্যতম মাধ্যম হলো খেলাধুলা। খেলাধুলার বিষয়ে তারা আমাকে যখনই ডাকবে আমি তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে সার্বিক সহযোগিতা করবো।

খেলা শেষে প্রত্যেক বিজয়ী দলকে পুরস্কার প্রদান করেন অতিথিবৃন্দ। এসময় বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ







ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনের মৃত্যু
২১ নভেম্বর ২০২৪ রাত ০৮:০৫:৩৩