• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ০২:৪৫:৫১ (22-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ০২:৪৫:৫১ (22-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

অপরাধ

অর্থ আত্মসাতের মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা, পালিয়ে বেড়াচ্ছে অ্যাসরোটেক্সের এমডি-পরিচালক

২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বিকাল ০৩:৩১:৩৮

অর্থ আত্মসাতের মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা, পালিয়ে বেড়াচ্ছে অ্যাসরোটেক্সের এমডি-পরিচালক

অ্যাসরোটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আসাদুল ইসলাম ও পরিচালক মো. আমির হোসাইন। ছবি: সংগৃহিত

বিশেষ প্রতিবেদক: পদ্মা সেতুর পাথর সরবরাহকারী আমিনুল ইসলামের দায়ের করা ১৪ কোটি টাকা আত্মসাতের জালিয়াতি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন অ্যাসরোটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো: আসাদুল ইসলাম ও পরিচালক আমির হোসাইন। আদালতে একাধিকবার জামিনের সময় নিয়েও আসামিরা হাজির হয়নি।

সর্বশেষ গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সোমবার জামিনের শুনানি থাকলেও হাজির হয়নি আসামিদ্বয়।

এর আগে, চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার সিএমএম আদালত।  

আমিনুল ইসলামের দায়ের করা মামলাটি অপরাধ দমন বিভাগ সিআইডি তদন্ত করলে জাল জালিয়াতির বিষয়টি উঠে আসে।

এদিকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর থেকে আসামিদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে।

বাদীর অভিযোগ থেকে জানা যায়, মেসার্স ভাই ভাই ট্রেডার্সের কর্ণধর আমিনুল ইসলাম একজন পাথর ব্যবসায়ী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সরকারের বেশ কিছু মেগা প্রকল্পে পাথর সরবরাহ করে আসছেন। আর আসাদুল ইসলাম ও আমির হোসাইন দুইজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী। ২০১৮ সালের জুন মাসে তিনজন যৌথভাবে বিদেশ থেকে পাথর আমদানির ব্যবসা শুরু করেন। চুক্তি অনুযায়ী কে কতটুকু লভ্যাংশ পাবেন, সেটাও লিখিত করা হয়। ব্যবসা শুরু করতে ভুক্তভোগী আমিনুল ইসলাম প্রথমে ১২ কোটি তিন লাখ এবং পরবর্তীতে আরও দুই কোটি পৃথক দু’টি ব্যাংকের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেন। এসময় আরও সাতটি চেকের পাতা তার কাছ থেকে নেওয়া হয়। দীর্ঘদিন পাথর আমদানি না করা হলে আমিনুল ইসলাম তাদের কাছে টাকা ও চেক ফেরত চান।

কিন্তু অ্যাসরোটেক্স গ্রুপের দুই কর্মকর্তা তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। তাদের আচরণে সন্দেহ হলে আমিনুল ইসলাম ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, যৌথ অ্যাকাউন্ট হলেও তার অজান্তেই ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী আমিনুল ইসলাম দীর্ঘদিন তাদের কাছে ধর্ণা দিলেও টাকা ফেরত পাননি। সবশেষ তিনি আদালতের শরণাপন্ন হন। আদালত মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডিকে।

দীর্ঘ তদন্তের পর গতবছরের শেষ দিকে সিআইডি প্রতিবেদন দাখিল করে। তদন্ত শেষে অ্যাসরোটেক্স গ্রুপের এমডি ও পরিচালকের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয় সিআইডি। তাতে বলা হয়, পাথর আমদানির ব্যবসায়িক পার্টনার হয়ে ভুক্তভোগী আমিনুল ইসলাম দুই দফায় প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে অ্যাসরোটেক্স গ্রুপের অ্যাকাউন্টে জমা দেন, যা যৌথ অ্যাকাউন্ট হলেও প্রতিষ্ঠানের এমডি ও পরিচালক জালিয়াতি মাধ্যমে টাকাগুলো তুলে আত্মসাৎ করেন। সিআইডির ফরেনসিকে এমন প্রমাণ মিলেছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান বলেন, ‘তদন্তে অ্যাসরোটেক্স গ্রুপের এমডি ও পরিচালকের জাল জালিয়াতির প্রমাণ মিলেছে। যারা জাল স্বাক্ষর করে যৌথ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নিয়েছেন। তদন্তে যা উঠে এসেছে সেভাবেই প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।’

এদিকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানটির ওই দুই ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ







ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনের মৃত্যু
২১ নভেম্বর ২০২৪ রাত ০৮:০৫:৩৩