• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ২১শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১ সকাল ০৮:৪৩:০৮ (05-Dec-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ২১শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১ সকাল ০৮:৪৩:০৮ (05-Dec-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

দেশের প্রথম বাণিজ্যিক ঘোড়ার খামার 'সঞ্জু হর্স ফার্ম'

১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সকাল ১০:০৫:৩০

দেশের প্রথম বাণিজ্যিক ঘোড়ার খামার 'সঞ্জু হর্স ফার্ম'

হুমায়ুন আহমেদ: দেশের প্রথম বাণিজ্যিক ঘোড়ার খামার 'সঞ্জু হর্স ফার্ম' প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ময়মনসিংহের সদর উপজেলার বেগুনবাড়ির কোকিল গ্রামে। এতে ঘোড়ার বাণিজ্যিক উৎপাদনে সম্ভাবনার নবদিগন্ত সূচিত হয়েছে।    

বর্তমানে এই খামারে রয়েছে সিন্দি, মারোয়ারী ও নোকড়া জাতের চোখ জুড়ানো ৭টি ঘোড়া। প্রতিটি ঘোড়ার মূল্য ২ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত।  

খামারের মালিক মো. শরফুল ইসলাম সঞ্জু (৩৪)। সঞ্জু অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ পাশ করা উচ্চ শিক্ষিত তরুণ। তিনি স্থানীয় বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম নূরুল ইসলাম মাস্টারের ছেলে।

ছোট বেলা থেকেই ঘোড়দৌড় বা রেইস খেলা খুব ভালো লাগত সঞ্জুর। আর এ কারণেই ২০০৭ সালে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হয়ে মায়ের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা নিয়ে একটি ঘোড়া কিনে শুরু করে রেইস খেলা। এতে সফলতাও আসে। দেশের নানা প্রান্তে অনুষ্ঠিত রেইস খেলায় অংশ নিয়ে তিনি অর্জন করেন পুরস্কার ও অর্থ। তবে কিছুদিন পর হঠাৎ তার সেই প্রিয় ঘোড়াটি অসুস্থ হয়ে মারা যায়। এতে সঞ্জু মর্মাহত হন।

এরপর ২০২১ সালে ভারতের রাজস্থান ও পাঞ্জাব থেকে সিন্দি, মারোয়ারী ও নোকড়া জাতের কয়েকটি ঘোড়া কিনে শুরু করেন বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ‘সঞ্জু হর্স ফার্ম’ নামে দেশের প্রথম ঘোড়ার খামার। বর্তমানে ওই খামারে ২ জন শ্রমিক নিয়মিত এই ঘোড়াগুলির পরির্চযা করেন।    

এলাকাবাসী ছাড়াও দেশের নানাপ্রান্ত থেকে লোকজন প্রতিদিনই আসেন এই ঘোড়ার খামার দেখতে এবং কিনতে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও আনসার একাডেমিতেও এই খামারে ঘোড়া বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও শখের বশে সমাজের উচ্চবিত্তরাও কিনে নিচ্ছেন এসব ঘোড়া। এতে তিনি বেশ লাভবান বলেও জানান সঞ্জু।  

সরেজমিনে এই ঘোড়ার খামারে গিয়ে কথা হয় খামারি শরীফুল ইসলাম সঞ্জুর সাথে।  

তিনি জানান, ঘোড়া পালনের কারণে প্রথম দিকে এলাকার মানুষ আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করত, টিপ্পনি কাটত। কিন্তু এখন অনেক দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসে এই খামার দেখতে। খামার দেখে মানুষ অবাক হয়, মুগ্ধও হয়।  

ঘোড়া প্রভুভক্ত প্রাণী উল্লেখ করে তিনি আরও জানান, ঘোড়াকে আপনি যা শেখাবেন, তাই সে শিখবে। ফলে এই ঘোড়া নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে। কিন্তু দেশে ঘোড়ার চাহিদা থাকলেও নেই খামার। ফলে প্রতি বছর বিদেশ থেকে ঘোড়া আমদানি করতে হয়। আর এ কারণেই আমি আমার খামারে আরও বেশি ঘোড়া উৎপাদন করতে চাই। এতে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করাও সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে সরকারি সহযোগিতা অপরিহার্য।    

সঞ্জু বলেন, ঘোড়দৌড় আন্তর্জাতিক মানের একটি খেলা। সারাবিশ্বে এই খেলার কদর রয়েছে। সেই সঙ্গে চিকিৎসা বিজ্ঞানেও ঘোড়ার রেইস বা রাইডিং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে প্রমাণিত।      

খামারের শ্রমিকরা জানান, ছোলা বুট, ধানের কুড়া, খড় ও সবুজ ঘাস ঘোড়ার প্রধান খাবার। সময় মেনে খাবার দিলে ঘোড়ার পরিচর্যায় কোনো সমস্যা হয় না।    

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলার অতিরিক্ত প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. রাহেলা পারভীন রুমা বলেন, ওই ঘোড়ার খামারের সাথে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। প্রয়োজনীয় ঔষধ ও সেবা আমরা দিয়ে যাচ্ছি। তবে প্রাণী সম্পদের নিবন্ধনে ঘোড়ার বিষয়টি উল্লেখ না থাকায় বন ও পরিবেশ বিভাগ নিবন্ধন বিষয়টি দেখবে বলে মত দেন তিনি।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ









পঞ্চগড় চেম্বারের সভাপতি শরিফ-ট্রেজারার রুবেল
৪ ডিসেম্বর ২০২৪ সন্ধ্যা ০৭:২০:৪৪