• ঢাকা
  • |
  • বুধবার ২৩শে মাঘ ১৪৩১ রাত ১০:৫২:১২ (05-Feb-2025)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বুধবার ২৩শে মাঘ ১৪৩১ রাত ১০:৫২:১২ (05-Feb-2025)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

রুহুল বিলে বাউৎ উৎসবে মেতেছেন সৌখিন মৎস্য শিকারীরা

১ ডিসেম্বর ২০২৪ সকাল ১১:৫৪:১৯

রুহুল বিলে বাউৎ উৎসবে মেতেছেন সৌখিন মৎস্য শিকারীরা

পাবনা প্রতিনিধি: পাবনা, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, কুষ্টিয়া, টাঙ্গাইলসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সৌখিন মৎস্য শিকারীরা এবারও মেতেছেন চলনবিলের বাউৎ উৎসবে।

৩০ নভেম্বর শনিবার পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া উপজেলার রুহুল বিলে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।

বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মৎস্য শিকারীদের কারো হাতে পলো, কারো হাতে খেয়া জাল, বাদাই জালসহ মাছ ধরার নানা উপকরণ। দল বেঁধে বিলে নেমে মনের আনন্দে মাছ শিকার করছেন তারা। এ সময় কেউ পেয়েছেন বোয়াল, কেউ বা শোল, রুই, কাতল। অনেকে ফিরছেন খালি হাতে।  

ভাঙ্গুড়া উপজেলার রুহুল বিলে দল বেঁধে মাছ ধরার এই আয়োজনের নাম ‘বাউৎ উৎসব’। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বাউৎ উৎসবে অংশ নেন নানা বয়সী হাজারো মানুষ। তবে, এ বছর বিলে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মাছের দেখা। এতে হতাশ মৎস্য শিকারীরা। তাদের অভিযোগ, অবৈধ জাল আর গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে মাছ ধরে নিয়েছে প্রভাবশালীরা। ফলে মাছ ও পোকামাকড় মরে গিয়ে পানিতে সৃষ্টি হয়েছে দুর্গন্ধ।

পাবনা-ফরিদপুর আঞ্চলিক সড়কের ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের পাটুলিপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো অন্তত ২০টি বাস। এসব বাসে কুষ্টিয়া, নাটোর, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ থেকে এসেছেন অনেক মৎস্য শিকারী।

বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর নভেম্বরের শেষে অথবা ডিসেম্বরের শুরুতে মাসব্যাপী চলে এই উৎসব। সপ্তাহের প্রতি শনি ও মঙ্গলবার ভোর থেকে বিলাঞ্চলের পূর্বনির্ধারিত এলাকায় দল বেঁধে মাছ শিকারে নামেন বাউৎ প্রেমীরা। চলনবিলের রুহুল বিল, ডিকশির বিল, রামের বিলসহ বিভিন্ন বিলে মাসব্যাপী চলে এই বাউৎ উৎসব।

সিরাজগঞ্জ থেকে মাছ শিকারে আসা আলী বলেন, 'বাউৎ উৎসবের কথা অনেক শুনেছি। এবার সিরাজগঞ্জ থেকে ৬টি বাস নিয়ে দুই শতাধিক লোক এসেছি মাছ ধরতে। এত লোক একসঙ্গে মাছ ধরার আনন্দই আলাদা। খুব ভাল লেগেছে।'

নাটোর থেকে বাউৎ উৎসবে আসা আরেক মৎস্য শিকারী মালেক বলেন, 'প্রতিবছরই আমি আসি এই বাউৎ উৎসবে। কিন্তু এবার মাছ নেই বললেই চলে। তবে আমরা মাছ পাই বা না পাই, সবাই মিলে আনন্দ করি এটাই ভালো লাগে।'

ফরিদপুর উপজেলার মাছ শিকারী আজাহার আলী বলেন, 'প্রভাবশালীরা আগেই চায়না দুয়ারী, কারেন্ট জাল দিয়ে সব মাছ ধরে নিয়েছে। পরে তারা বিলে গ্যাস ট্যাবলেট দিছে, যে কারণে ছোট মাছ যা আছে বেশিরভাগ মরে গেছে। পানিতেও দুর্গন্ধ অনেক। এ জন্য মাছ নাই এবার।'

বিলে বাউৎ উৎসব দেখতে আসা আশিকুর রহমান, নায়েব ইসলাম, ফিরোজ হোসেন, জুয়েল আহমেদসহ কয়েকজন বলেন, বিলে যেভাবে গ্যাস ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয়েছে তাতে দেশি মাছের প্রজনন নষ্ট হচ্ছে। জীববৈচিত্র হারিয়ে যাচ্ছে। প্রকাশ্যে অবৈধ চায়না দুয়ারী ও কারেন্ট জাল ব্যবহার হচ্ছে। এখনই প্রশাসনের ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুদা বলেন, 'মাছের প্রজনন ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি না করে বাউৎ উৎসব পালন করতে হবে। এ বিষয়ে মৎস্য শিকারীদের সচতেন হতে হবে। সেই সঙ্গে বিলে গ্যাস ট্যাবলেট বা অবৈধ জাল ব্যবহার করে মাছের ও পরিবেশের ক্ষতি করছে এমন অভিযোগ পেলে মৎস্য আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ


রাতের আঁধারে ভাঙা হলো বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ রাত ০৯:০৮:৩০

দাগনভূঞায় দুই ইটভাটাকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ রাত ০৮:৫৩:৪২



কাউখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুর মৃত্যু
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ রাত ০৮:০৫:৩২


ফকিরহাটে দৃষ্টি হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার ৩
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৯:৫৮