কবি নজরুল কলেজ প্রতিনিধি: কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগের ৩ নেতার বিরুদ্ধে কদমতলী থানায় চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোঃ আল মামুন, সাবেক উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন সংগ্রাম ও সাবেক সহ-সম্পাদক শাহাবুদ্দিন।
ভুক্তভোগী আবুল খায়ের মামলার এজাহারে উল্লেখ করে বলেন, আমি আমার বন্ধু আরিফুল রহমানের বাসায় আমার বান্ধবীসহ বেড়াতে গেলে আল মামুন, সাইফুল ইসলাম, তোফাজ্জল ও শাহাবুদ্দিন আমাকে আটক করে মারধর করে দশ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এর সঙ্গে আমার বন্ধু নিজেও জড়িত। তারা আমাদের জোরপূর্বক ভিডিও ধারণ করে নেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি। একপর্যায়ে আমি তাদের দুই লাখ টাকা দিতে রাজি হই।
ভুক্তভোগী আরও উল্লেখ করেন, আমি তাদের দেড় লাখ টাকা ম্যানেজ করে দেওয়ার পর বাকি পঞ্চাশ হাজার টাকা পরে দেওয়ার কথা জানাই। কিন্তু আল মামুন তার ফোন থেকে আমাকে ভিডিও পাঠিয়ে শিঘ্রই বাকি টাকা না দিলে ভিডিও নেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
চাঁদাবাজির দায়ে অভিযুক্ত তোফাজ্জল হোসেন সংগ্রাম বলেন, ওইদিন আমি আর সাহাবুদ্দিন বাড়িতে ছিলাম। এ ঘটনার সঙ্গে আমরা জড়িত না। আমাদের দু’জনকে ফাঁসানো হয়েছে।
অপর অভিযুক্ত শাহাবুদ্দিন বলেন, এটা একটা ষড়যন্ত্রমূলক মামলা। বাদী শিকারও করেছে যে আমি আর তোফাজ্জল এর সঙ্গে জড়িত না। মূল তিনজন আসামির যেকোন একজন আমাদেরকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে।
এ বিষয়ে কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন সাগর বলেন, মামলার বিষয়ে থানা থেকে আমাকে জানানো হয়েছে। ব্যক্তির অপকর্মের দায় কখনো সংগঠন নিবে না। এনিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি নিশ্চয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবেন।
মামলার বিষয়ে কদমতলী থানার সাব ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) কবির হোসেন বলেন, চাঁদাবাজির এই মামলায় মোট পাঁচজন আসামি। ইতোমধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি দু’জন আত্মগোপনে রয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available