সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: বেছে বেছে মেধাবী ছাত্রদের টার্গেট করতেন। তারপর পুলিশে চাকুরির প্রলোভন দেখাতেন। কয়েকজন মেধাবী ছাত্রকে টার্গেট করলে এদের মধ্যে কেউ না কেউ পুলিশে চাকুরির পরীক্ষায় টিকে যেতো। তখন সেই প্রার্থীকে তিনিই চাকুরি দিয়েছেন বলে কৌশলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতেন।
মো. এনামুল হক (৪০) নামের এমনই এক প্রতারকের সন্ধান পাওয়া গেছে সাতক্ষীরায়। তিনি খুলনা জেলার ফুলতলা থানা এলাকার জামিরা গ্রামের মোসলেম সরদারের ছেলে। গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে আপাতত শ্রীঘরে বন্দী রয়েছেন।
১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার পাটকেলঘাটা থানার তৈলকুপি এলাকায় এরকমই এক প্রতারণা করতে গিয়ে ধরা পড়েন এই প্রতারক। এ সময় তার কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত একশো টাকার স্ট্যাম্প, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও ডাচ বাংলা ব্যাংকের দুটি শূন্য চেকসহ অন্যান্য কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার মো. মতিউর রহমান সিদ্দিকী।
১৫ মার্চ শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন্স ড্রিলশেডে এক সংবাদ সম্মেলনে পুরো ঘটনা বর্নণা করেন পুলিশ সুপার। এ সময় তার সাথে গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ তারেক ফয়সাল ইবনে আজিজ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল ইসলামসহ গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার বলেন, পাটকেলঘাটার তৈলকুপি গ্রামে ইয়াছিন আলী নামের পুলিশে ভর্তিচ্ছু এক প্রার্থীর সাথে প্রতারণা করতে গিয়েছিলো প্রতারক এনামুল। চাকুরি হলে ১৪ লক্ষ টাকা দিতে হবে এই মর্মে শূন্য ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও দুটি ব্যাংকের শূন্য চেকে ইয়াছিনের মা ফিরোজা বেগমের স্বাক্ষর করিয়ে নেয় সে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে প্রতারণা ও তার সংঘবদ্ধ চক্রের কথা স্বীকার করেছে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশে পরীক্ষা দিচ্ছে এমন মেধাবী প্রার্থীদের টার্গেট করতো প্রতারক এনামুল। এদের মধ্যে কারো চাকুরি হলে বা মেধাতালিকায় টিকে গেলে কৌশলে তার কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিতো চক্রটি। প্রতারক চক্রটির অন্য সদস্যদের ধরতে পুলিশের এ ধরনের অভিযান অব্যহত থাকবে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available